নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিষপানে সাথী বেগম (৩২) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা মামলায় দেবরকে আটক করেছে পুলিশ। আটকৃত দেবর এর নাম সোরহাব মিয়া(৩৩)। ২১ মে মঙ্গলবার বিকেলে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে দুপুরে পৌর শহরের শিবগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। নিহত সাথী বেগম পৌর শহরের দক্ষিণ ভবানীপুর এলাকার হোসেন আলীর স্ত্রী। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে।
নিহতের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, জমিজমার বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জেরে প্রতিনিয়তই সাথীকে গালমন্দ করে মানসিকভাবে অত্যচার করতো তাঁর শাশুড়ী জরিনা বেগম, শ্বশুর সুলতান মিয়া ও দেবররা। ঘটনার দিন অর্থাৎ গত সোমবার (২০ মে) দুপুরে সাথীকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে তাঁরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাথী অভিমান করে বসত ঘরে থাকা বিষ পান করে। সাথীর বিষ খাওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে মেয়ে সেলিনা ও স্বামী হোসেন আলী তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে মেয়ে সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে নিহত সাথীর শাশুড়ী জরিনা বেগম (৬৫), শ্বশুর সুলতান মিয়া (৭৫), দেবর জুনায়েদ হোসেন (৫০), সোহরাব মিয়া (৩৩) ও জুয়েল মিয়া (৩০) এর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
নিহত সাথীর মেয়ে সেলিনা আক্তার বলেন, আমার দাদীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গেল কিছু দিন আগেই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে মা। আমার দাদির নির্যাতনে বিষ খাইছে আমার মা। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ আওলাদ হোসেন বলেন, মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় মেয়ে বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে মামলা করে। এ মামলার ৪ নম্বর আসামিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। আইনি প্রক্রিয়াশেষে বিকেলে আটককৃত ব্যক্তিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।