মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন এক সাংবাদিক। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার কোলা ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলী সড়কে মর্মান্তিক এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায ঘটে। সেখানে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। নিহত এক শিক্ষার্থীর বাড়িতে স্বজনদের আহাজারির ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করতে গেলে ওই এলাকায় আতব আলী শেখের ছেলে আবুল শেখ (৪০) তার সাথে থাকা আরো ১০/১২ জনকে নিয়ে সাংবাদিককে এলোপাথারী মারধর করে মোবাইল ও স্বর্ণের চেইন লুটে নেয়। আহত সাংবাদিক মোঃ শহিদ শেখ ডেইলি ট্রাইবুন্যাল ও দৈনিক অধিকরণ পত্রিকার সিরাজদিখান প্রতিনিধি। সাংবাদিক শহিদ শেখ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে, বুধবার দিবাগত রাত ১১ টায় সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিরাজদিখান প্রেসক্লাব সভাপতি মো. মোক্তার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদসহ সাংবাদিক ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ঘটনার পর থেকে আবুল হোসেন ও তার সঙ্গীরা গাঁঢাকা দিয়েছে। সাংবাদিক শহিদ শেখ জানান, আমি আমার মেয়েকে নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। মোবাইল ফোনে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তথ্য সংগ্রহে আমি ছাতিয়ানতলী যাই। নিহত শিক্ষার্থীর স্বজনদের আহাজারির ফুটেজ নিতে গেলে আবুল শেখ আমার দিকে তেড়ে আসে। কোন কিছু না বলে আমার ঘাড়ে ধরে ধাক্কাতে ধাক্কাতে রাস্তায় নিয়ে আসে ওর সাথে থাকা আরো ৩ জন কিল-ঘুষি লাথি মারে। এরপর জোর পুর্বক অটোরিকশায় উঠায় সেখানে আরো ৬/৭ জন ছিলো একজন বড় কালো টর্চ লাইট দিয়ে আমার পিঠে কয়েক বার সজোরে আঘাত করে। গাড়িতে উঠানোর সময় একজন গলা থেকে চেইন ছিনিয়ে নেয়, আর মোবাইল ফোন প্রথমেই আবুল হোসেন কেরে নেয়। এরপর বেশি লোকজন চলে আসলে তারা কেটে পরে। পরে ঐ অটোরিকশা করে স্থানীয়রা আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে চিকিৎসা দেয়। এরপর আমি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করি। এ বিষয়ে থানার ওসি মুজাহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, আমি বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।