দশ দফা দাবীতে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার সরকারীকৃত কলেজ শিক্ষকদের বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) দুপুরে রংপুর চেম্বার অব কমার্স এ- ইন্ডাষ্ট্রি মিলনায়তনে পীরগাছা কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবুল মাবুদ রাজা’র সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পায়রাবন্দ সরকারী কলেজের শিক্ষক রওশানুল কাওছার সংগ্রাম, লালমনিরহাটের মতিয়ার রহমার, কুড়িগ্রামের রাজারহাটের দিল্লুবা বেগম ঝুমা, গঙ্গাচড়া সরকারী কলেজের মখলুবুর রহমান, হারাগাছ সরকারী কলেজের জাবেদ আক্তার, গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ কলেজের সুলতান তালুকদার, নীলফামারী জলঢাকা কলেজের সবুজ মিয়া।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক ও সাহসিকতাপূর্ণ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শিক্ষার মানোন্নয়নকল্পে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ সরকারীকরণ হয়েছে। এ সিদ্ধান্তে শিক্ষকরা আনন্দিত হলেও কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮ এর অসংগতি জন্য এ মহতি উদ্যোগ ম্লান হতে যাচ্ছে।
শিক্ষাপ্রশাসনের ঘাপটি মেরে থাকা কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা এ বিধিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার মনোন্নয়ন ও শিক্ষার সার্বিক পরিবেশকে বাধাগ্রস্থ করছে। অবিলম্বে রিভিউ, কোয়ারির নামে প্রসহন বন্ধ করে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণ সম্পন্ন করা, পে-প্রটেকশনের মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসন, ক্যাডার-নন ক্যাডার বৈষম্য দূরীকরণ, নন ক্যাডার পদে ক্যাডার পদায়ন বন্ধ করা, সাধারণ শিক্ষা কম্পোজিশন এ- রিক্রুটমেন্টস রুল প্রণয়ন করে দ্রুত শূণ্য পদে নিয়োগ প্রদান, এনা কমিটি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর স্টাফিং প্যাটার্ন অনুযায়ী পদসোপান তৈরী ও পদোন্নতি নিশ্চিত করা, সরকারী পে-কমিশন অনুযায়ী ১০ বছরে একটি এবং ১৬ বছরে দ্বিতীয় পদোন্নতি বাস্তবায়ন করা, শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকুরী বদলিযোগ্য করা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশিতে সরকারী কলেজ অধিশাখা প্রতিষ্ঠার দাবী জানানো হয়। দ্রুত দাবী বাস্তবায়ন না হলে রংপুর থেকে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয়।