সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে কনজুমার পণ্যের আড়ালে জমজমাট নকল প্রসাধনী পণ্যের ব্যবসা পরিচালনা করে কোটিপতি বনে যাওয়া হারুন অর রশীদ (হারুন হাজী) অবশেষে ডিবির জালে আটক।
জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে গত ১২ মে দুপুরের দিকে মেসার্স জননী এন্টারপ্রাইজের মালিক হারুন অর রশিদ (৫৫) কে তারাকান্দি পুর্বপাড়া নিজ বাসা থেকে আটক করে টাঙ্গাইল জেল হাজতে প্রেরণ করে। এ বিষয় নিয়ে শিল্পাঞ্চল খ্যাত তারাকান্দিতে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।এলাকবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, মেসার্স জননী এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী হারুন অর রশিদ দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন ধরনের কনজুমার পণ্যের আড়ালে নকল প্রসাধনী পণ্যসহ নানা রকম যৌন উত্তেজক হারবাল পন্য ও বিভিন্ন নামীদামী কোম্পানির ল্যাবেল ব্যবহার করে নকল প্রসাধনী তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, হারুন অর রশিদ দুই বার হজ্জব্রত পালন করে ভালো মানুষের আড়ালে মুখোশ পরে অবৈধ এসব ব্যবসা পরিচালনা করে কোটিপ্রতি বনে গেছে। অবৈধ কনজুমার পণ্যের ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ তারাকান্দি পুর্বপাড়া গ্রামের দুদু মিয়ার বড় ছেলে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, হারুন অর রশিদ দীর্ঘ দিন ধরে এসব ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান হারুন হাজী অবৈধ ব্যবসা করে অঢেল সম্পাতির মালিক হওয়ায় এলাকাবাসী তার ব্যাপারে মুখ খুলতে সাহস পায়না।
এ বিষয়ে অবৈধ কনজুমার পণ্যের ব্যবসয়ী হারুন হাজীর পিতা দুদু মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার ছেলেকে কি অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তা আমি জানি না।
ঘটনার দিন পুলিশ আমার বাসায় তল্লাশি করে অবৈধ কোন কিছু পায়নি। তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে রয়েছে।
এ বিষয়ে টাংগাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোশাররফ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি সাড়া দেননি।