বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল ক্রমেই উপকূলের দিক এগিয়ে আসছে। রোববার সকাল থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলবর্তী এলাকায় হালকা বৃষ্টির সাথে দমকা বাতাস বইতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি রোববার সন্ধ্যা নাগাদ সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হানবে। এ অবস্থায় এখানে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সুন্দরবনে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ। ইতিমধ্যে বন কর্মীদের নিরাপদ স্থানে সড়িযে নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া সুন্দরবনে অবস্থানরত মাছ ও কাঁকড়া ধরার সকল জেলেদের লোকালয়ে অবস্থান করার নির্দশনা দিয়েছে বন বিভাগ। সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এজেডএম হাছানুর রহমান বলেন, খুলনা রেঞ্জের ৫ টি স্টেশনসহ ১৮ টি টহলফাঁড়িতে অবস্থানরত বনকর্মীদের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সুন্দরবন ও সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেদের লোকালয়ে ফিরতে পরামর্শ দিয়ে তাদের উদ্ধারে বনকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের ডিএফও ড. আবু নাসের মোহসীন হোসেন বলেন, ঘুর্নিঝড় রেমালে কোন প্রকার ক্ষতির সম্মুখিন যাতে না পড়ে সেই জন্য আগেভাগে বন কর্মীদের নিরাপদ স্থানে থাকার নির্দশনা দেওয়া হয়েছে।