ভোলার দৌলতখানে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেক গাছগাছালি উপড়ে রাস্তায় পড়ে যাওয়ায় জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এ ছাড়া গাছের ডাল ভেঙে ও ঘরের উপর গাছ চাপা পড়ে দৌলতখান পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে মাইশা নামে ৪বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের লোকজন জানায়, ঘরের উপর গাছ উপড়ে পড়ে গাছ চাপায় শিশুটি ঘরের ভিতরই মারা যায়। এ ছাড়া উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নে গাছ চাপায় ১নং ওয়ার্ডে আবুল কাশেম নামে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রেমালের বিরুপ প্রভাবে গাছের ডাল ভেঙে ও গাছ উপড়ে পড়ে ভবানীপুর ইউনিয়নসহ অনেক জায়গায় বিদ্যুৎএর খুঁটি ভেঙে গেছে। মঙ্গলবার বিকালে দৌলতখানে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম শুরু করলেও ক্ষতিগ্রস্ত ওইসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় উপজেলার অনেক এলাকার শতশত পরিবার অন্ধকারে রয়েছে। রেমালের প্রতিক্লূ আবহাওয়ায় উত্তাল মেঘনার জোয়ার স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বেশি হওয়ায় বেড়িবাঁধের বাইরের অনেক ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জোয়ারের তোড়ে অনেক পরিবারের গরু ছাগল, হাঁস-মুরগি ভেসে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলেরগরু মহিষের খামারের অনেক গরু মহিষ স্রােতে নিয়ে গেছে। অপরদিকে পাশ্ববর্তী উপজেলা বোরহানউদ্দিনের সাচড়া ৬নং ওয়ার্ডে পঞ্চায়েত বাড়ীর জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েত (৪৮) গাছের ডাল ভেঙ্গে পেটের মধ্যে ঢুকে যাওয়ার মারা গেছে বলে জানা গেছে।