এখন চলছে ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম। যেকোনো সময়-ই হঠাৎ মেঘ করে বৃষ্টি হতে পারে। ঝড়ের সাথে বৃষ্টি কখনো আমাদের ক্ষতিরও কারণ হয়। তাই এ সময় আমাদের উচিত আল্লাহকে স্মরণ করা এবং সুন্নতের ওপর আমল করা। মানে আল্লাহর রাসূল সা: ঝড়-বৃষ্টির মুহূর্তে যা করার নির্দেশনা দিয়েছেন তা করা। এ প্রসঙ্গে হজরত আয়েশা রা: বলেন, যখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতো এবং ঝোড়ো বাতাস বইত, তখন রাসূল সা:-এর চেহারায় চিন্তার রেখা ফুটে উঠত। এই অবস্থা দেখে তিনি এদিক-সেদিক পায়চারি করতে থাকতেন এবং এ দোয়া পড়তেন-
اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা-ফিহা ওয়া খাইরা মা-উরসিলাত বিহি, ওয়া আউজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা-ফিহা ওয়া শাররি মা-উরসিলাত বিহি।
অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এ বৃষ্টির কল্যাণগুলো কামনা করছি, এই বৃষ্টিতে যেসব কল্যাণ রয়েছে সেগুলো কামনা করছি এবং এই বৃষ্টির মাধ্যমে প্রেরিত কল্যাণ প্রার্থনা করছি। আর আর এ বৃষ্টি ও বৃষ্টির মাধ্যমে প্রেরিত সব রকম অকল্যাণ ও বিপদাপদ থেকে পরিত্রাণ চাই।’ এরপর যখন বৃষ্টি হতো, তখন মহানবী সা: শান্ত হতেন। আয়েশা রা: আরো বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সা:-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছি যে লোকজন মেঘ দেখলে বৃষ্টির আশায় আনন্দিত হয়ে থাকে, আর আপনি তা দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন?’ এর জবাবে রাসূল সা: বলেন, ‘আমি এ ভেবে শঙ্কিত হই যে, বৃষ্টি আমার উম্মতের ওপর আজাব হিসেবে পতিত হয় কিনা। কেননা, আগের উম্মতদের ওপর এ পদ্ধতিতে (বৃষ্টি বর্ষণের আকারে) আজাব পতিত হয়েছিল।’ (বুখারি, হাদিস : ৩২০৬; মুসলিম, হাদিস : ৮৯৯; তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৪৯) তাই ঈমানদারদের উচিত, আকাশে বৃষ্টির ভাব দেখলে বা বৃষ্টি আসবে আসবে-মনে হলে এই দোয়া পাঠ করা এবং একইসাথে অধিক পরিমাণে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করা।