এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সাত দফায় ভোটগ্রহণের পর ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হচ্ছে মঙ্গলবার (৪ জুন)। যদিও শেষ দফার ভোট গ্রহণের দিন বুথফেরত জরিপ সংস্থাগুলো পূর্বাভাস জানিয়েছিল যে, এবারও বিপুল ভোটে বিজয় পাঁচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপি ও তার নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ। কিন্তু প্রাথমিক ফল ঘোষণা শুরু হতেই সমস্ত বুথফেরত জরিপের ভবিষ্যদ্বাণী উল্টে দিচ্ছে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া।
যদিও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট কম-বেশি ২৯০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
বিবিসি বলছে, নরেন্দ্র মোদি যখন ‘আব কি বার, চারশ পার’ (এবার চারশ ছাড়িয়ে যাব) স্লোগান দিয়ে নির্বাচনের প্রচার শুরু করেছিলেন, তখন তিনি তার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের জন্য ৪০০টিরও বেশি আসনে জয়ী হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন।
বুথ ফেরত জরিপও পূর্বাভাস দিয়েছিল তার জোট ৪০০ আসনে জয়ী হবে। যাইহোক, প্রাথমিক ভোট গণনা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, বিরোধী মধ্য বামপন্থি ইন্ডিয়া জোটের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে এবার।
ভারতের ৫৪৩ আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন। এনডিএ ওই পর্যন্ত পৌঁছাবে কি না তা নিয়ে ইতোমধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। দুই জোটের মধ্যে ব্যবধান প্রত্যাশার চেয়ে কমে আসছে বলে মনে হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মাত্র ৬০ থেকে ৭০টি আসনের পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।
কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারও বলছে, নরেন্দ্র মোদির এনডিএ আর বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র মাঝে ফারাক মাত্র ৫০ আসনের মতো। এমনকি অযোধ্যার ফয়েজাবাদ আসনেও পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে তিনি তিন হাজারের বেশি ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন।
দল হিসেবে বিজেপি এগিয়ে আছে ২৩৯টি আসনে। সংবাদমাধ্যম বলছে, দুপুর দুইটা পর্যন্ত বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ২৩৯টি আসনে। কংগ্রেস ৯৮ এবং অন্যান্য দল ২০৬টি আসনে এগিয়ে আছে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩১টিতে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। দুপুর দুইটা পর্যন্ত যে ফলাফল পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ১০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। আর একটিতে এগিয়ে কংগ্রেস।