সৌন্দর্যচর্চায় ফেসপ্যাকের ব্যবহার যুগ যুগ ধরেই হয়ে আসছে। ঘরোয়া নানান উপকরণ দিয়েই ত্বককে সুন্দর, উজ্জ্বল, মসৃণ, প্রাণবন্ত রাখতে এই চর্চার কোন জুড়ি নেই। সৌন্দর্যচর্চা একধরনের মানসিক শান্তি। প্রতিদিন ঘরে বা বাইরে যেভাবেই হোক না কেন ত্বকে নানান ধরনের ময়লা, ধুলাবালি, ঘাম থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়। ত্বক মলিন হয়ে ওঠে। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন ফেসপ্যাক ব্যবহার করা প্রয়োজন। ঘরে থাকা উপাদান দিয়ে এই ফেসপ্যাকগুলো তৈরি করা সম্ভব। চিয়া সিডের প্যাক: দুধের মধ্যে এক চা চামচ চিয়া সিড পনেরো মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এর মধ্যে দুই চামচ অ্যালোভেরা জেল দিয়ে ভালো করে মিক্স করে একটি ভারী টেক্সচার আসলে তখন ফেসপ্যাকটি ২০ মিনিটের জন্য ত্বকে দিয়ে রাখুন। শুষ্ক ও নিস্তেজ ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে চিয়ার সিডের চেয়ে ভালো আর কিছু নেই।
ফলের ফেসপ্যঠশ: কলা ও আম ভালো করে মিক্স করে তার মধ্যে একটু তরমুজের রস দিয়ে ও এক চামচ মধু দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ফলের ফেসপ্যাক রোদে পোড়া কালো ভাব দূর করতে সহায়তা করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরায়।
তিসির ফেসপ্যাক: ত্বকের জন্য এটি একটি জাদুকরী উপাদান। এটি ত্বকে খুব দ্রুত কাজ করে। ত্বকের বলিরেখা অতি সাধারণ সমস্যা। ফলে বয়সের আগেই চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ চলে আসে। তিসি বলিরেখা ও বার্ধক্যের ছাপ দূর করে। প্রথমে তিসিকে ভালো করে ধুয়ে একটু শুকিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর সেখানে এক চামচ টক দই ও এক চামচ মধু মিক্স করে পুরো মুখে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের কালো দাগ কিংবা ফোলা ভাব অনেকটাই কমে যাবে। ত্বক টানটান ও সতেজ করবে।
বাদামের ফেসপ্যাক: কাঠবাদাম কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে খোসাটা ফেলে দিয়ে তারপর ভালো করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে এর মধ্যে দুধের সর, মধু, একটু হলুদ গুঁড়ো একত্রে মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। কাঠবাদামে রয়েছে ভারী ময়েশ্চারাইজার, ভিটামিন ই ও মিনারেল। কাঠবাদাম ব্যবহারের ফলে ত্বক মসৃণ হয়। যেকোনো ফেসপ্যাক দেওয়ার আগে ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক ভালো করে ধুয়ে ফেসপ্যাক লাগান। ফেসপ্যাক ধুয়ে ফেলার পর ত্বকে একটু বরফ ঘষে নিতে পারেন। তারপর যেকোনো ভালো একটি মশ্চারাইজার অথবা সিরাম ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।