নিজের পরিবারে অনেক করে রাজার মতো বড় করেছে এ কারণে তার নাম দেওয়া হয়েছে মহারাজ। দেখতে দানবাকৃতির গরুটির ওজন ৩৫ মণ। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু এই মহারাজ বলে ধারণা সাধারন মানুষের। আসছে কোরবানির ঈদে হাট কাঁপাবে এই মহারাজ। মহারাজকে ৩ বছর ধরে লালন-পালন করছেন উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কবির হোসেন।
কবির হোসেন বলেন তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। শখের বসিভুত হয়ে গরু পালন করেন। তিন বছর আগে বাড়ির গাভী থেকে মহারাজের জন্ম হয়। এটা হলেস্টেইন-ফ্রিজিয়ান জাতের গরু।নিজের বাড়িতে কাঁচা ঘাস,খৈল,ভুসি,খড়, ভাতসহ উন্নত মানের খাবার খাইয়ে বড় করেছেন। গরমে প্রতিদিন ৪বার গোসল করানো হয় মহারাজাকে। বর্তমানে এর ওজন দাঁড়িয়েছে ৩৫ মণে।
ঈদুল আজহায় মহারাজকে বিক্রি করে দেবেন এমন টা আশা করছেন। আনুমানিক তার ওজন ৩৫ মণ ওজন হবে। কবির হোসেন দাম হাঁকিয়েছেন ১৫ লাখ টাকা। বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাপারিরা গরুটি দেখতে আসছেন কিন্তু ব্যাপারিদের সাথে দামে হচ্ছে না বলে মহারাজকে কিনতে পারছে না। প্রতিদিন এই মহারাজকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে কবিরের বাড়িদে ভড়ি করছে। এরকম বড় গরু তারা আগে দেখেননি। তাদের মতে মহারাজই এখন পর্যন্ত ঝিনাইদহ জেলার সবচেয়ে বড় গরু। এ বছর কোরবানিতে এমন বড় গরু দেখা বা কোন সন্ধান মেলেনি। কবির হোসেনের বড় ভাই আবদুল মালেক বলেন, ছোট ভাই খুব কষ্ট করে গরুটি লালন-পালন করেছেন নিজের পরিবারের সদস্যদের মত। দেখলে মনে হবে একদম নিজের সন্তানের মতো করে খাবার ও আদর করে। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে গরুটি বড় করেছেন। গরুটি রাখার মতো জায়গা নেই, তাই এই কোরবানি ঈদে বিক্রি করে দেওয়া হবে বলে জানান।মহারাজকে দেখতে আসা কোরবান আলী বলেন, তিনি দির্ঘদিন গরু কেনা-বেচার ব্যবসা করেন। এলাকায় এ পর্যন্ত যা ঘুরেছেন, এমন মোটা ও বড় গরু চোখে পড়েনি। গরুটির ৩৫ মণ ওজন আছে। গরুটি দেখতে এসেছেন দাম-দর ঠিক হলে কিনে ফেলছেন। কিনতে পারলে তিনি গরুটি ঢাকা বা চট্রগ্রামে নিয়ে বিক্রি করবেন। নাম মহারাজ যে কারণে গরু মালিক তাকে কখন ও ঘরের বাইরে বের করে না। তার চাহিদামত খাবার দেওয়া হয়ে থাকে।তাজা মোটা করনের কোন ওষুধ খাওয়ানো হয়নি,দেশিয় খাবার খাওয়ানো হয় মহারাজকে। গরুটি দেখতে মহারাজ ও দানবের মত।
প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুব্রত কুমার ব্যানার্জী জানান, এ বছর জেলায় ২ লাখ ৭৯ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এ জেলায় চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার। বাকি ১ লাখ ১১ হাজার ৫০০ পশু জেলার বাইরে পাঠানো হবে।