
সংকলকের কথা
মহান আল্লাহ্র অযুত হাম্দ ও তাঁর রাসূলের প্রতি লাখো দরূদ
মানব মুক্তির মহাসনদ মহাগ্রন্থ আল-কুরআন বিষয়ে সামান্য খেদমত জাতির সামনে তুলে ধরতে পারায় নিজকে ধন্য মনে করছি। আল্লাহ্ পাকের মহান দরবারে কোন্ ভাষায় শোকর আদায় করবো, এ মুহূর্তে তা জানা নেই । এই মহৎ কাজ তিনি তৌফিক না দিলে এ অধমের পক্ষে কোন মতেই সম্ভব হতো না । শানে নুযূল বিষয়ে বিক্ষিপ্ত কিংবা অপূর্ণাঙ্গ পুস্তক বাজারে দেখে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ নির্ভরযোগ্য একখানা কিতাব সংকলন করব। এ উদ্দেশ্য সামনে রেখে কানযুন নুযূল (উর্দু) কেতাবখানির বাংলা অনুবাদে হাত দিয়েছিলাম। কিন্তু এই কিতাবটি নেহায়েত সংক্ষিপ্ত হওয়ায় আমি বৃহদাকারে লেখার আশা পোষণ করি। মাল-মসল্লা তো লাগবে। এ সময় শ্রদ্ধেয় অগ্রজ জনাব মাওলানা আব্দুল মোমেন সাহেব (প্রধান শিক্ষক, মাদ্রাসা তাহফিজুল কুরআনিল কারীম) আসবাবে নুযূল ও লুবাবুন নুকূল কিতাব দু'খানা হাতে তুলে দিলেন । সেই থেকে শুরু। পরবর্তীতে দারুল ইহসানের লাইব্রেরী এ কাজে যথেষ্ট উপকারে এসেছে। এই লাইব্রেরী না থাকলে হয়ত তাফসীরের কিতাবগুলো সংগ্রহ করা সম্ভব হত না। আল্লাহর মেহেরবানীতে দু'বছরের টানা পরিশ্রমে এটি এখন পাঠকের হাতে। খুব সম্ভব শানে নুযুলের পূর্ণাঙ্গ কিতাব বাংলায় এই প্রথম। এই গ্রন্থে আমি যথাসম্ভব নির্ভরযোগ্য তাফসীরের রেওয়ায়েত সন্নিবেশের চেষ্টা করেছি। যে সব রেওয়ায়েত নিয়ে ভিন্নমত আছে, সেগুলোও সনাক্ত করে দিয়েছি। ভাষাও যথাসম্ভব সহজ করার চেষ্টা করেছি। এতে কতটুকু সফল হয়েছি, সে বিচার পাঠকের। এ বই দ্বারা সমাজের কারো যদি কুরআন বুঝার কিছুমাত্র সহায়তা হয়, তা হলেই আমার শ্রম সার্থক মনে করব। মহান আল্লাহ্ এ নগণ্য শ্রম তাঁর দরবারে গ্রহণ করুন, এর উছিলায় অধমের পরকালীন নাজাত ও কল্যাণের ব্যবস্থা করুন – এই কামনা।
বিনয়াবনত
ফজলুদ্দীন শিবলী