বরিশালে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নানা বয়সের মানুষ। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ সবচেয়ে বেশি হওয়ায় শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে একটি বেডে তিনকেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে-শিশু ওয়ার্ডে বেশিরভাগ শিশুরাই নিউমোনিয়া, জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিনিয়ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অন্তত তিনগুণ রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বসে কথা হয় মেহেন্দীগঞ্জের আরজু বেগমের সাথে। তিনি বলেন, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় তার ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। কোনোমতে একটি বেড পেলেও সেখানে রয়েছে আরও দুইজন রোগী। একই অবস্থা ওই ওয়ার্ডের প্রতিটি বেডের।
একাধিক রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন-তিনজন রোগীকে এক বেডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতে করে তারা ভোগান্তিতে পরেছেন।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. নুরুল আলম বলেন, বাসায় বাচ্চার মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে। শিশুদের গরম রাখতে হবে। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। গরম পানি খাওয়ানো যায়, গরম পানি দিয়ে গোছল করানো যায়। এভাবে বাসাতে থেকেই চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।
ঠান্ডাজনিত রোগের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেন-বাড়তি রোগীর চাপ সামাল দিতে কিছুটা হিমশিম অবস্থা হলেও চিকিৎসা সেবায় কোনো কমতি নেই বলে।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল উপ-পরিচালক একেএম নাজমুল আহসান বলেন, রোগীর চাপ বেশি হলেও আমরা সবাইকে চিকিৎসা দিচ্ছি। যেগুলো একটু কিট্রিক্যাল তাদের স্পেশাল কেয়ার নিচ্ছি।
উল্লেখ্য, শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ৪১টি শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন ভর্তি থাকছে শতাধিক শিশু। এরা সবাই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। এছাড়াও বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিশু।