পিরোজপুরের কাউখালীতে এবার আগাম লাউ চাষ করে অনেক কৃষকের ভাগ্য বদল হয়েছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকাররা কৃষকের ফসলের মাঠ থেকে লাউ কেটে নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করছেন। অন্য সময়ের চেয়ে এবারে লাউয়ের দাম বেশ ভাল পেয়েছেন কৃষকরা।
উপজেলার কৃষকরা মাঠ ফসলের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষে ঝুঁকছেন। যার ফলশ্রুতিতে এবার এই উপজেলায় প্রায় ৫৮ হেক্টর জমিতে লাউয়ের চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকরা বাড়ির উঠোনে, রাস্তার ধারে, পতিত জমিতে, পুকুর বা ছোট খালের পাশে এবং কৃষি জমির পাশে লাউয়ের পাশাপাশি কুমড়া, সিম, শশা ও করলাও চাষ করেছেন।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব কেউন্দিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় কৃষক মোঃ মামুন হোসেন তার ক্ষেতে কাজ করছেন। তিনি জানান, ২৫০ টি মাদায় প্রায় ৫০০ লাউ গাছ লাগিয়েছে। এ বছর আশ্বিন মাস থেকে এই অগ্রহায়নের শেষ পর্যন্ত প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার লাউ বিক্রি করেছে। আরো প্রায় দুই লক্ষ টাকার লাউ বিক্রি করতে পারবে বলে তিনি জানান। গতবছর কৃষক মামুন প্রায় ৫ লক্ষ টাকা লাউ বাজারে বিক্রি করেছেন। তিনি জানান, এবছর লাউ চাষ করতে তার খরচ হয়েছে মাত্র ৩০/৩৫ হাজার টাকা।
সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের কৃষক সুজিত জানান, তিনিও প্রায় দেড় লক্ষ টাকার লাউ বিক্রি করেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার প্রদীপ কুমার হালদার জানান, পলি বিধৌত কাউখালীর মাটি সবজি চাষে উপযুক্ত। এ বছর রবি সিজনে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হচ্ছে। লাউয়ের বেশ ভাল দাম পাওয়া যায় বলে সারা বছরই এখন লাউয়ের চাষ হচ্ছে। আমাদের উপসহকারী কৃষি অফিসাররা সার্বক্ষনিক মাঠে থেকে সবজি চাষীদের বিভিন্ন কারিগরি পরামর্শ দিচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার সোমা রানী দাস বলেন, আমাদের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় উন্নত ফলনশীল বিভিন্ন প্রকারের সবজির প্রদর্শনী দেওয়া হচ্ছে পাশাপাশি সরকারী প্রণোদনাতেও বিভিন্ন প্রকারের সবজি বীজ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের সবজি চাষ বিষয়ক ব্যবহারিক জ্ঞান প্রদান করা হচ্ছে।