কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মারচরে যুবক রাজুকে হত্যার ঘটনায় মামলার বাদীর স্বজনদের বাড়িতে আসামীরা হামলা ও গুলিবর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বৈরাগীরচর ভাঙ্গাপাড়া গ্রামে আসামীরা এ হামলা চালায়। এছাড়াও মামলার বাদীসহ পরিবারের লোকজনকে আসামী ও তাদের ক্যাডাররা হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাদী ও তার স্বজনরা। নিহতের চাচাতো ভাই জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, রাজু হত্যা মামলার আসামীরা নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। শুক্রবার বিকেলে সন্ত্রাসী সাঈদ ও তার ক্যাডাররা অস্ত্র নিয়ে তার ও বোনজামাই জিন্টুর বাড়িতে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় আতংক তৈরী করতে ৩ রাউন্ড ফাকা গুলিবর্ষণ করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করে। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, মামলার আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছেন। পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে স্পর্শকাতর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উল্লেখ্য, সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের পদ্মানদীর চরে রাজু আহমেদ (২০) নামে এক যুবককেগুলি করে হত্যা করা হয়। নিহত রাজু একই ইউনিয়নের ফারাকপুর ভাঙ্গাপাড়া এলাকার ইব্রাহিম প্রামাণিকের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের মা ডলি খাতুন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে চরাঞ্চল উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। প্রায় প্রতিদিনই গুলি ও বোমা বর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এতে করে এলাকাবাসীসহ সাধারন মানুষের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।