আজ সোমবার (১৭ফেব্রুয়ারী) ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ আন্দোলন শুরু হবে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ৫কিলোমিটার পর্যন্ত তিস্তা নদীর পাড়ে বুড়িরহাট এলাকায়। আন্দোলনকে ঘিরে লাখ লাখ মানুষ উজ্জীবিত হয়েছে। সোম ও মঙ্গলবার(১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারী) দু'দিন ব্যাপী তিস্তা পাড়ের মানুষ সহ লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী,কুড়িগ্রামের কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী,ফুলবাড়ী, রংপুরের কাউনিয়া, গঙ্গাচড়া, পীরগাছা, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেরার সাধারণ মানুষ রাজারহাটের চর খিতাবখাঁ বুড়িরহাট এলাকায় হাজার হাজার মানুষ একত্রিত হয়ে তিস্তা ব্রীজ পর্যন্ত এলাকায় আন্দোলন শুরু করবেন। এ কারণে বেশ কিছুদিন ধরে এসব এলাকায় ব্যাপকহারে মাইকিং পোস্টারিং করে প্রচার-প্রচারনা চালানো হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি মেনে না নিবেন ততদিন পর্যন্ত সাধারণ মানুষ মাঠে থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ইতোমধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান একমত প্রকাশ করেছেন। আয়োজকদের মধ্যে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন, তিস্তা শুধু একটি নদী নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিস্তা আমাদের জীবনরেখা এর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতেই হবে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে যেমন পরাজিত করেছি, তেমনই তিস্তাকে শাসন করে মানুষের কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত করব ইনশাআল্লাহ। তারা আরও বলেন, যারা দীর্ঘ ১৬ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল, তারা শুধু নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করেছে, জনগণের দিকে তাকায়নি। আট হাজার কোটি টাকা দিতে চেয়েছিল চীন। তারা সমীক্ষা ও ডিজাইনও করেছিল, কিন্তু সরকার ভারতের পররাষ্ট্রনীতির কাছে নতজানু হওয়ার কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়নি। এখন আর আমরা ভারতের কথা শুনবো না। বিদেশ যদি সাহায্য না করে, বাংলাদেশের অর্থেই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি এবং সমস্বরে দাবি উত্থাপন করি, তাহলে যেকোনো সরকারই আমাদের দাবি মানতে বাধ্য হবে। জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই আন্দোলনে ইতোমধ্যে জেলা উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কমিটি করা হয়েছে। এসকল কমিটির মাধ্যমে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করা সম্ভব বলে বেশ কয়েকটি কমিটি মূখপাত্র জানিয়েছেন।