চাঁপাইনবাবগঞ্জে অটোরিকশা চালক পলাশ হালদার হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদেরমধ্যে দুইজন হত্যায় সরাসরি অংশ নেয়। সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম। গ্রেপ্তারকৃরা হলেনÑ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার কাজলা এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. জনি, তানোর উপজেলার কলমা এলাকার একরামুল হকের ছেলে মো. রকি, একই উপজেলার তালন্দ এলাকার ফয়জুদ্দিনের ছেলে মো. জুয়েল ও নওগাঁর মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়া পশ্চিমপাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে সানোয়ার হোসেন। এদের মধ্যে জনি ও রকি সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। বাকী দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয় ছিনিয়ে নেয়া অটোরিকশার মালামাল কেনার জন্য।
পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, শনিবার সকালে পলাশ হালদারের মরদেহ উদ্ধারের পরই পুলিশ আসামি ধরতে জোর তৎপরতা শুরু করে। ওইদিন রাতেই সদর উপজেলার মহারাজপুর থেকে রকি ও জনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী নওগাঁর নিয়ামতপুর ও রাজশাহীর তানোর থেকে পলাশের কাছে ছিনিয়ে নেয়া অটো রিকশার খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়। অটো রিকশাটি খণ্ড খণ্ড করে বিক্রি করা হয়েছিল। এ সময় ছিনতাই করা অটোরিকশার মালামাল কেনার দায়ে জুয়েল ও সানোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি রকি ও জনি পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে পলাশের অটোরিকশা ভাড়া নেন। ওইদিনই পলাশকে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ সরিষাখেতে ফেলে দেয়া হয়। সেখানেই দুদিন ধরে মরদেহ পড়ে থাকলেও কারও নজরে আসেনি। হত্যা সহজ করতে হত্যার আগে পলাশকে বাংলা মদ খাওয়ানো হয়। তিনি বলেন, অটো রিকশা ছিনিয়ে নিতেই পলাশকে হত্যা করা হয়। খণ্ড খণ্ড করে অটোরিকশাটি ৩৯ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। রকি ও জনির কাছ থেকে সেই ৩৯ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকা থেকে শনিবার পলাশের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পলাশ হালদার সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের কালীনগরের শ্রী লাকফর হালদারের ছেলে।