পাবনার সুজানগর পৌরসভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে দিনের পর দিন শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে ওই সব শিশু শ্রমিকরা মজুরী বৈষম্যের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় শ্রমিক নেতা বাবু মোল্লা জানান, ইতিপূর্বে সুজানগর পৌরসভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে প্রায় তিন হাজার শিশু শ্রমিক ছিল। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় পাঁচ হাজারে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে সমাজের দরিদ্র এবং দুঃস্থ পরিবারের শিশুরা জীবিকার প্রয়োজনে শ্র্র্রমিকের কাজ করায় এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই সকল শিশু শ্রমিকদের বেশিরভাগ হোটেল-রেঁস্তোরা এবং ওয়ার্কশপসহ বিভিন্ন দোকানপাটে কাজ করে। কিছু কিছু শিশু শ্রমিক আবার কৃষি কাজ এবং রিক্সা ভ্যান চালানোর কাজও করে থাকে। প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকের চেয়ে শিশু শ্রমিকের মজুরী কম হওয়ায় এদের চাহিদা বেশি। তাছাড়া শিশু শ্রমিকরা কাজে ফাঁকি কম দেওয়ার কারণেও ওই সকল প্রতিষ্ঠানে তাদের চাহিদা বেশি। তবে শিশু শ্রমিকদের অভিযোগ মালিকরা তাদের মজুরী কম দেন। স্থানীয় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন শিশু শ্রমিক জানায়, মালিক পক্ষ সারা মাস তাদের ইচ্ছামতো কাজ করান। কিন্তু মাস শেষে মজুরী দেন মাত্র ৬/৭ হাজার টাকা। অথচ বয়স্ক শ্রমিকরা একই সমান কাজ করে প্রতিমাসে মজুরী পান ১০/১৫হাজার টাকা। তারা মজুরী বৈষম্য দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন শিশু শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো দণ্ডনীয় অপরাধ। কাজেই এ বিষয়ে মালিকপক্ষ সচেতন না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।