সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত না করে, আগামী ২ মার্চ আপিল বিভাগের শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীর নিয়োগ বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলের এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত এ সিদ্ধান্ত দেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি, বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬ হাজার ৫৩১ জন শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করার রায় দেন। আবেদনকারীদের আইনজীবী কামরুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, নিয়োগের ফলাফল ২৩ জুলাইয়ের নোটিফিকেশনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। ফলে, বঞ্চিত ১৫৩ জন প্রার্থী রিট করেছিলেন, এবং হাইকোর্ট ওই রিটের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করে।
রায়ে বলা হয়, ৩১ অক্টোবরের যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল, তা বাতিল হতে হবে এবং নতুনভাবে মেধার ভিত্তিতে ২৩ জুলাইয়ের নোটিফিকেশন অনুসরণ করে ফলাফল প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। ২৩ জুলাইয়ের নোটিফিকেশনে উল্লেখ ছিল, মেধা নির্ধারণে ৯৩ শতাংশ এবং মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য আলাদা কোটা নির্ধারণ করা হয়।
নির্বাচিত ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল ৩১ অক্টোবর প্রকাশিত হয়, এবং ২০ নভেম্বর নিয়োগপত্র ইস্যু করার কথা ছিল। তবে, কোটা অনুসরণের বিষয়ে অভিযোগ ওঠে এবং সেই ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টের আদেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়, ফলে নিয়োগ আটকে যায়।
রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ৬ ফেব্রুয়ারি রায় দেয়, যার বিরুদ্ধে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আপিল করা হয়। ২ মার্চ আপিল বিভাগে শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।