প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে বিচারের আওতায় আনা সরকারের প্রধান লক্ষ্য। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনের পর এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে এবং এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। শফিকুল আলম বলেন, সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে স্পষ্টভাবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ওঠেছে। তার বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগগুলো আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে, এবং এর ফলস্বরূপ চাপে পড়েছে ভারত।
এ বিষয়ে শফিকুল আলম আরো বলেন, "ভারতের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ৫৫ শতাংশ মানুষ শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পক্ষে। বেশ কিছু মানুষ তাকে অন্য দেশে পাঠানোর পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন, তবে মাত্র ১৬-১৭ শতাংশ মানুষ চান যে শেখ হাসিনা ভারতে থাকুক।"
প্রেস সচিব বলেন, “এ মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে সশরীরে বিচার করার বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার রয়েছে। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”
এছাড়া, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, "এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেশের জনগণ নেবে, তবে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার— যারা জুলাই গণহত্যা, গুম-খুন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের সকলের বিচার হবে।" তিনি আরো জানান, “এগুলি পরিশোধিত হলে বাংলাদেশের মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবেন আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী হবে।”
প্রেস সচিব আরও বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুবাই সফরে গিয়ে সেখানে বাংলাদেশি শ্রমিকদের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য সেখানকার মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আমরা আশা করছি, এই নিষেধাজ্ঞা শীঘ্রই উঠে যাবে এবং আবারও বাংলাদেশি শ্রমিকরা দুবাইতে কাজের সুযোগ পাবেন।”
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম মজুমদার।