২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১১৩৭ জনের চাকরি ফেরতের রায় বৃহস্পতিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০১:১৮ পিএম
২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১১৩৭ জনের চাকরি ফেরতের রায় বৃহস্পতিবার

২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনের চাকরি ফেরত চেয়ে করা আপিলের শুনানি শেষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রায় ঘোষণা করবেন আপিল বিভাগ। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন নির্ধারণ করেন।  

আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাহ উদ্দিন দোলন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। এছাড়া সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া।  

২০০৭ সালে ২৭তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও নিয়োগ না পাওয়া ১ হাজার ১৩৭ জনের পক্ষে এই আপিল করা হয়। ২০১০ সালের ১১ জুলাই আপিল বিভাগ ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন। পরবর্তীতে গত বছরের ৭ নভেম্বর নিয়োগবঞ্চিতদের পক্ষে করা আপিল শুনানির আদেশ দেন আদালত। এরপর রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে ১ হাজার ১৩৭ জনের পক্ষে ১৪০ জন পৃথক আবেদন করেন।  

মামলার পটভূমি থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় ৩ হাজার ৫৬৭ জন উত্তীর্ণ হন। তবে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ওই বছরের ৩০ মে প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পিএসসি একই বছরের ১ জুলাই প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিল করে এবং ২৯ জুলাই দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষায় ৩ হাজার ২২৯ জন উত্তীর্ণ হন এবং তাদের চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়।  

২০০৮ সালে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করেন। তবে হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করেন। প্রথম রায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগবঞ্চিত ২৫ জন আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল করেন। অন্যদিকে দ্বিতীয় রায়ের বিরুদ্ধে সরকার তিনটি লিভ টু আপিল করে। ২০১০ সালের ১১ জুলাই আপিল বিভাগ সরকারের লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা নেওয়াকে বৈধ ঘোষণা করেন।  

আবেদনকারীদের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন বলেন, দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ছিল না। এ বিষয়টি পিএসসি আইন ও বিধিতেও উল্লেখ নেই। তিনি আরও জানান, দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকার লিভ টু আপিল করেছিল, যা ২০১০ সালে আপিল বিভাগ নিষ্পত্তি করেন।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে