রাজশাহীতে নারীর ঘরে ‘ধরা পড়া’ পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত

এম এম মামুন; রাজশাহী
| আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০১:১৫ পিএম | প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০১:১৩ পিএম
রাজশাহীতে নারীর ঘরে ‘ধরা পড়া’ পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত
রাজশাহী নগরীতে এক মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে স্থানীয়দের হাতে ‘ধরা পড়া’ পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় তাকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নগরীর সাতবাড়িয়া মহল্লায় এক নারীর ঘরে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানাকে পেয়ে আটকে রাখেন স্থানীয়রা। এ সময় নারীকে মারপিট এবং এএসআইকে লাঠিপেটা করে থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে মতিহার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এএসআই সোহেল রানা আরএমপির চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত ছিলেন। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, রাতে ওই নারীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে এনে এএসআই সোহেল রানাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছিল। পরে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তাকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করে। তখন তাকে চন্দ্রিমা থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে এএসআই সোহেল পুলিশ লাইন্সে চলে যান। আরএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এএসআই সোহেলকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করার পাশাপাশি সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে। এখন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত হবে। তারপর সে অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এএসআই সোহেল রানাকে যে নারীর ঘরে পাওয়া যায় সে নারী থাকেন তার বাবার বাড়িতে। তার স্বামী একজন মাদক কারবারি। বছর দেড়েক জেল খেটে তিনি সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। স্বামী কারাগারে থাকার সময় থেকেই ওই নারী থাকেন বাবার বাড়িতে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই নারীর সাথে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন এএসআই সোহেল রানা। যদিও ওই রাতে নারী ও এএসআই সোহেল দাবি করেন, তারা ‘কলমা করে’ বিয়ে করেছেন। আর ওই নারী দাবি করেন, তিনি তার আগের স্বামীকে তালাক দিয়েছেন। থানায় এসে বিয়ের প্রসঙ্গ এড়িয়ে অন্য কথা বলেন সোহেল রানা। তিনি পুলিশকে জানান, তার তিনটি অটোরিকশা আছে। সেগুলো ওই নারীর তত্ত্বাবধানেই থাকে। মাঝে মাঝে গিয়ে তিনি ভাড়ার টাকা আনেন। ওই রাতেই ভাড়ার টাকা আনতে গিয়েছিলেন। তখন ওই নারীর স্বামীসহ স্থানীয়রা তাকে আটকে রেখে মারধর করেন।