পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে প্রায় ২ কোটি টাকার ঔষধ ও শল্য চিকিৎসা সামগ্রী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে বাস্তবে গ্রহন না করেও কাগজপত্রে গ্রহন দেখানো ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (এরএমও)সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেছে। দুদক পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ সহকারী পরিচালক মোঃ শরীফ শেখ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওই অফিসের উপ সহকারী পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান ২০ ফেব্রুয়ারী মামলাটি রেকর্ড করেন। মামলার আসামীরা হলেন পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মিজানুর রহমান, জেলা হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনী) ডা. ফারহানা রহমান, আরএমও ডা. মোঃ নিজাম উদ্দিন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সুরঞ্জিত কুমার সাহা ও স্টোর কিপার মোঃ আল আমীন গাজী এবং ঔষধ সরবরাহের ঠিকাদার এস এম সামসুল আরেফীন, মোঃ হানিফুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম ও মোঃ রাশেদুজ্জামান এরশাদ। দুদক পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলামের নির্দেশে এক প্রেস রিলিজে উপ সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাট আজ শনিবার দুপুর ২ টায় এ তথ্য জানান।ডিএডি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন আমার দেশকে জানান হসপিটাল সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট অপারেশনাল প্ল্যান এর আওতায় পিরোজপুর জেলা হাসপাতলে ২০২৩-২০২৪ বছরে ঔষধ সরবরাহের জন্য সাউথ বাংলা, আনহা মেডিকেল টেকনোলজি, উইড্রা বিডি ও মেডি স্কয়ার নামে ঢাকার ৪টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পান। ওই ৪টি প্রতিষ্ঠান ২ কোটি টাকার ঔষধ সামগ্রী সরবরাহ না করলেও গত বছরের ১৬ ও ২৮ এপ্রিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৫ আসামী নিজ নিজ স্বাক্ষরে ঔষধ সামগ্রী গ্রহন করেছেন মর্মে কাগজপত্রে দেখান। হাসপাতালে ঔষধ সরবরাহ না করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৫ আসামী ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ৪ আসামীর বিরুদ্ধে যোগাযোগীতে বিপুল অংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়। এ বিষয়ে পিরোজপুর দুদক অফিস জানতে পেরে এ বছরের ২৭ জানুয়ারী পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে স্টোর রুমের স্টকে কাগজে উল্লেখিত ঔষধ সামগ্রী দেখতে পাওয়া যায়নি। অভিযানকালে হাসপাতালের স্টোরে যে ঔষধের ঘাটতি পাওয়া গিয়েছিল গত ২ ফেব্রুয়ারী ঢাকা থেকে একটি ট্রাকে সে ঔষধ এনে স্টোরে ঢুকানোর চেষ্টাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুদকের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ঔষধসহ ট্রাকটি আটক করে। ডিএডি মোঃ মোয়াজ্জেম জানান, ঢাকা অফিসের নির্দেশে ২০ ফেব্রুয়ারী এ ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে দুদক আইনে মামলা করা হয়। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমানকে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলা বিষয়ে তিনি এখনো কিছু জানেন না। তবে তিনি বলেন মামলার তদন্তে আসল বিষয় উঠে আসবে।