জুলাই বিপ্লব ও শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে গবেষণার আহবান

এফএনএস (মমিনুল ইসলাম রিপন; রংপুর) : | প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৭:৪৪ পিএম
জুলাই বিপ্লব ও শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে গবেষণার আহবান

একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও দৈনিক আমার দেশ এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, আবু সাঈদসহ সকল নিহত শহীদদের নিয়ে গবেষণা উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে। তিনি বলেন, আবু সাঈদের আইকনিক দৃশ্য পুরো বাংলাদেশের মানুষে হৃদয়কে নারা দিয়েছে। শনিবার বিকেলে বেরোবির স্বাধীনতা স্মারক মাঠে পাঁচদিন ব্যাপী বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি। বেরোবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী, বেরোবির গনিত বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ তাজুল ইসলাম, স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের চেয়ারম্যান কে এম রিদওয়ানুল বারী জিয়ন প্রমুখ।

মাহমুদুর রহমান বলেন, আবু সাঈদ ১৬ জুলাই পুলিশ ও খুনি হাসিনাকে চোখ রাঙ্গিয়ে রান্তায় নেমেছে সকল ছাত্ররা রাস্তায় নেমে নেতৃত্ব দিয়েছে। হাসিনার ফ্যাসিবাদ ভারতের হেজিমনি পরাজিত হয়ে দেশ থেকে পালিয়েছে। আমার দেশ সম্পাদক বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হোক যেখানে বৈষম্য থাকবে না গণতন্ত্র ও মানবাধিকার থাকবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করার পরিস্থিতি তৈরি করেছেন আবু সাঈদ। জুলাই বিপ্লবে আমরা ৩৬ দিনে দেখতে পেয়েছি বিভিন্ন বাকের মধ্য দিয়ে বিপ্লব এগিয়ে গেছে। সেই বাঁকের মধ্যে অন্যতম প্রধান যে ছিল আবু সাঈদ। যেটা ১৬ জুলাই আবু সাঈদ দুই হাত তুলে পুলিশের সামনে বুক চিড়িয়ে দাঁড়িয়েছে। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ জীবন দিয়েছে। জুলাই বিপ্লবের মাস্টার মাইন্ড কেই নাই। যারা আন্দোলন করেছে তারাই মাস্টার মাইন্ড। যে দল বা ব্যাক্তি মাস্টারমাইন্ড সৃষ্টি করতে যাবে তাদের মুজিববাদের মতো পালিয়ে যেতে হবে ও তাদের মন্দির ভেঙ্গে দেয়া হবে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বইমেলার উদ্বোধন করেন শহীদ আবু সায়ীদের বাবা মকবুল হোসেন ও শহীদ খাতুনের বাবা নূর ইসলাম। বইমেলায় ৪০টি স্টল অংশ করে। বইমেলায় আলোচনা সভা, লেখক-পাঠক আড্ডা, আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিলো। শেষ দিনে বইমেলায় উপচে পড় ভিড় ছিলো। মাহমুদুর রহমানের বক্তব্যের সময় বেরোবি শিক্ষক, শিক্ষার্থীর মনোযোগ দিয়ে তার বক্তৃতা শুনেন। এর আগে শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারী নজরুল গবেষণা ও যুগান্তরের সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার প্রধান অতিথি ছিলেন। এছাড়াও কবি-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীগণ আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

শনিবার দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরপিইউজে) করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক বাদশাহ ওসমানী, কোষাধ্যক্ষ মমিনুল ইসলাম রিপন, আমার দেশ স্টাফ রিপোর্টার মেজবাহুল হিমেল ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়। এর আগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসলে দৈনিক আমার দেশ এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে শুভেচ্ছা জানায় বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক এ কে এম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নু-ই-আলম সিদ্দিকী, আমার দেশ পত্রিকার বগুড়া ব্যুারো চিফ সবুর শাহ লোটাস, রংপুর অফিসের স্টাফ রির্পোটার বাদশা ওসমানী, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দপুর প্রতিনিধি সাহাবাজ উদ্দিন সবুজ, জলঢাকা প্রতিনিধি মো. ফয়সাল মুরাদসহ রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল। অনুষ্ঠানে ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষে থেকে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি গাইল দুটি এ্যালবাম বেরোবিকে হস্তান্তর করেন। বই মেলার প্রতিটি স্টল পরিদর্শন করেন তিনি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে