চাঁদপুর সদরে যার নাম মুখেই শুনেছেন কিন্তু দেখেনি। অবশেষে স্থানীয় রাজনীতির গোলকধাঁধার সেই মানুষটির অবশেষে দেখা পেয়েছেন চাঁদপুর শহরবাসী। নাম তার মো. আজম খান।যিনি চাঁদপুর সদর নির্বাচনী এলাকার বিএনপি নেতা কর্মীদের একাংশের পরিচিত একটি নাম ছিল। তার বাড়ি এত সদর উপজেলার মৈশাদীতে।সাউথ আফ্রিকা বিএনপির সভাপতি তিনি। লোকমুখে তার নাম শোনা গেল একুশে ফেব্রুয়ারীর পরের দিন অবশেষে আজম খানকে দেখতে পেলেন দলীয় একাংশের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ। প্রায় ১৬ বছর পর বিরাট গাড়ির বহর নিয়ে সড়ক পথে মুন্সিরহাট - বাবুরহাট হয়ে ওয়ারলেস মোড় বাস স্ট্যান্ড মিশন রোড দিয়ে চাঁদপুর হাই স্কুল মাঠে এসে পথ সভা করেছেন তিনি। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিনি ঢাকা থেকে সড়ক পথে গাড়ী বহর নিয়ে চাঁদপুর জেলায় প্রবেশ করেন। এসময় বাবুরহাট থেকে শহরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শত শত নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ তার দেখা পেয়েছেন। গাড়ী বহর নিয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে পথ সভায় বক্তব্য দেন এই নেতা । তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারআমাকে গত ১৬ বছর মিথ্যা মামলা দিয়ে পাসপোর্ট আটকিয়ে রেখেছিলো। ভিসা না দেয়ায় আমি গত ষোল বছর নিজ জন্মভূমিতে পা রাখতে পারি নাই। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পরে আমি আমার পাসপোর্ট ফিরে পেয়ে দেশে আসি।বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা জিয়ার সৈনিক। আমি কোন নেতা না, আমি আপনাদের মত একজন সৈনিক। নিজেরা নিজেরা যদি আমরা মারামারি কাটাকাটি করি, তাহলে আমাদের দল টিকানো কষ্টকর হয়ে যাবে। আবার ষোল বছর আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে। আমরা এক নেতা আরেক নেতার উপর যেন শক্তি প্রয়োগ না করি। একজন নেতার ভোটের যে মূল্য একজন রাস্তায় যে ঘুমায় তার ভোটের মূল্যও একই। চাঁদপুরে অনেকেই বলেন নেতা কে হবেন। নেতা নির্ধারণ করবেন আমাদের নেতা তারেক রহমান। এসময় চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম কাজী জুয়েল সহ বহু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।