পাঁচ দফা দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ গেটের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা, সাথে যোগ দিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরাও।
এমবিবিএস কিংবা বিডিএস ডিগ্রী ব্যতীত কারো নামের আগে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার না করা, বিএমডিসির বিরুদ্ধে করা রিট প্রত্যাহার, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করা, স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসন করা, এমটিএস ও নিম্নমানের মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা ও চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবিতে ইন্টার চিকিৎসকদের এই কর্মসূচি।
চিকিৎসকরা বলছেন, তাদের এই যৌক্তিক দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে রোগী ভোগান্তিসহ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির দায় সরকারকে নিতে হবে বলে দাবি করেন তারা।
এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। রামেক হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ড গুলোতে কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসক নেই। এছাড়া ওয়ার্ডে দেখা পাওয়া যাচ্ছে না সিনিয়র চিকিৎসকদেরও।
এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক এফএম শামীম আহম্মদ বলেন, হাসপাতালে ৬০টি ওয়ার্ড রয়েছে। আর ওয়ার্ডগুলোতে চিকিৎসার কোনো ব্যাঘাত ঘটছে না। কারণ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক ২৪০ জন। তারা না থাকায় মিড লেভেলের চিকিৎসক ও বেসরকারি অনারারি মেডিকেল কর্মকর্তাদের দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।