রাজশাহীর তানোরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় এক উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ও পৌরসভার সাবেক এক নারী কাউন্সিলরকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেছে ছাত্র-জনতা। পরে স্থানীয়রা উত্তম-মাধ্যম দিয়ে সাড়ে ৭ লাখ টাকা কাবিনে বিবাহ দেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তানোর পৌরসভার বেলপুকুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রায়হানুল ইসলাম (৪৫)।তিনি এক বছর আগে তানোর পৌরসভার সাবেক নারী কাউন্সিলর জুলেখা বেগম (৪৪) এর প্রেমে পড়েন। সেই সম্পর্কে তাদের একাধিকার দৈহিক মিলনও হয়। তারা উভয়ে বিবাহিত। তাদের সন্তানও রয়েছে। প্রেমের টানে রায়হানুল ইসলাম মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জুলেখার স্বামীর বাড়িতে যান। এসময় আপত্তিকর অবস্থায় জুলেখার স্বামী শফিকুল ইসলাম স্থানীয় ছাত্র-জনতা সহায়তায় তাদের ধরে ফেলে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসি এ প্রতিবেদককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পরে স্থানীয়রা উত্তম-মাধ্যম দিয়ে সাড়ে ৭ লাখ টাকা কাবিনে কাজী ডেকে বিবাহ দেয়। বর্তমানে নারী কাউন্সিলর স্বামীকে তালাক দিয়ে কৃষি অফিসার রায়হানুল ইসলামের ভাড়া বাসায় রয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রায়হানুল ইসলামের বাড়ি নওগাঁ জেলা সদরে। তার পিতা মৃত জামিন উদ্দিন। তিনি চাকুরি করার সুবাদে বেশ কয়েক বছর ধরে তানোরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। আর কাউন্সিলর জুলেখা বেগম তার স্বামী সিএনজি চালক শফিকুর রহমানের বাড়িতে থাকেন। তার বাড়ি তানোর পৌরসভার বেলপুকুরিয়া গ্রামে। এমন খবরে তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহমেদের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও রিসিভ হয়নি। পরে এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আলী রেজার মোবাইলে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি, খোঁজ নিয়ে পরে বিস্তারিত জানাতে পারব। ই/তা