যুবকের মেমোরি কার্ডে গৃহবধূ ধর্ষণের ভিডিও

আপত্তিকর ছবি তোলার পর সেগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন কয়েকজন সংঘবদ্ধ যুবক। পরে ওই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গৃহবধূর কাছ থেকে ৫৮ লাখ টাকাও হাতিয়ে নেন তারা। এ ঘটনায় ফেনীর সোনাগাজী থানায় ওই গৃহবধূ মামলা করার পর পুলিশ অভিযুক্তদের একজন হারুনুর রশিদ ওরফে হারুন মিয়াজীকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে পালানোর সময় ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে ধর্ষক হারুন গ্রেপ্তার হন।

ইমিগ্রেশন পুলিশের সহযোগিতায় হারুনুর রশিদকে গ্রেপ্তারের পর দেহ তল্লাশি করে একটি মুঠোফোন এবং একটি মেমোরি কার্ড উদ্ধার করে পুলিশ। ওই মেমোরি কার্ডে গৃহবধূর আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে। হারুনুর রশিদকে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উক্ত ঘটনাটি রাতে চট্টগ্রাম শহরে বিভিন্ন লোকজনের মধ্যে জানাজানি হয়।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সোনাগাজী উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের বাসিন্দা হারুনুর রশিদ ওরফে হারুন মিয়াজী ঘটনার শিকার ওই গৃহবধূর স্বামীর পূর্বপরিচিত। সুযোগ পেয়ে মোবাইল মেরামত করার কথা বলে তিনি ওই গৃহবধূর বাড়িতে যাতায়াত করেন। আর এভাবে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।  একপর্যায়ে এই নারীকে হারুনসহ কয়েকজন যুবক ধর্ষণ করে । এসময় আপত্তিকর ছবি তোলে তারা। এরপর সেগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে হারুন ও তার সহযোগীরা ওই গৃহবধূর কাছ থেকে ৮ ভরি স্বর্ণালংকারসহ মোট ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা  দফায় দফায় হাতিয়ে নেন। সম্প্রতি তারা ওই গৃহবধূকে আরও ১৫ লাখ টাকার জন্য চাপ দিলে গৃহবধূ এলাকা ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যান। উল্লেখ্য,  গত ১১ ফেব্রুয়ারি ওই গৃহবধূ হারুনসহ তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ফেনীর সোনাগাজী থানায় মামলা করেন।