পুঠিয়ায় পৌরসভার যে যখন মেয়র হয়েছে টাকা লুটপাট করেছেন

কে এম রেজা; পুঠিয়া, রাজশাহী
| আপডেট: ১ মার্চ, ২০২৫, ০২:২১ পিএম | প্রকাশ: ১ মার্চ, ২০২৫, ১১:৩৩ এএম
পুঠিয়ায় পৌরসভার যে যখন মেয়র হয়েছে টাকা লুটপাট করেছেন
রাজশাহী পুঠিয়ায় পৌরসভা ঝলমলিয়া হাট প্রতিবছর কয়েক লাখ টাকায় ইজারা হয়ে থাকে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হাটের উন্নয়য়ের কাজে টাকা ব্যয় করে না বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ তুলেছেন। পৌরসভা গঠনের পর হতে যে যখন মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই ব্যক্তিরাই পৌরসভার দৃশ্যমান উন্নয়ন না করে বরং উন্নয়নের নামে বিভিন্ন রকম বরাদ্দ হতে লুটপাট করে খেয়েছেন। বাংলা ১৪৩১ সনে হাটটি ইজারা হয়েছিল ৬১ লাখ ৫০০ টাকায়। আগামী ১৪৩২ সনের জন্য ইজারা হয়েছে ৮৩ লাখ টাকা। হাটের স্থানীয় ব্যবসায়ী সজল সরদার বলেন, গুড় হাটের মানুষ আসলে কাঁদা-পানির কারণে ঠিকমতো কেনাবেচা করতে পাড়তেন না। আমরা বাধ্য হয়ে নিজেদের টাকা দিয়ে গুড়হাটা সংস্কার করেছি। ঝলমলিয়া হাটের মাংস বিক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন,জবাইকৃত পশুর বর্জ আবর্জনা ফেলার জয়গা আছে। কিন্তু তদারকির অভাবে তা ব্যবহার করা যায় না। দুর্গন্ধের ভেতর জীবন-জীবিকার তাগিদে হাটে মাংস বিক্রি করতে আসি। মাছ বিক্রেতা শুকুর আলি বলেন,আমাদের মাংস পট্টির অনেকের ইতোমধ্যে ময়না আবর্জনার দুর্গন্ধে শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তারপরও জীবিকার জন্য হাটে আসতে হয়। সহকারি ইজারাদার ইনজার আলি বলেন, প্রতিবছর হাট উন্নয়ন সংস্কারের জন্য যে পরিমাণ বরাদ্দ থাকে তা সঠিকভাবে ব্যয় করলে হাটে আসা মানুষগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং স্বাচ্ছন্দে কেনা-কাটা করতে পাড়বেন। ঝলমলিয়া হাটে এলাকাবাসীদের অভিযোগ,শুধুমাত্র কর্তৃপক্ষের নজরদারীর ও অহেলার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। হাটের নিকটে বসবাসকারী বেলায়েত হোসেন বলেন, পৌরসভা গঠনের পর হতে যে যখন মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই ব্যক্তিরাই পৌরসভার দৃশ্যমান উন্নয়ন না করে বরং উন্নয়নের নামে বিভিন্ন রকম বরাদ্দ হতে লুটপাট করে খেয়েছেন। এডিবির বাৎসরিক বরাদ্দের টাকা কাজ না করে পূর্বে যে কাজগুলি করা হয়েছে। তা দেখায়ে কাজের বরাদ্দের টাকা নয়ছয় করে লুটপাট করা হয়েছে। চলতি বছরের ইজারা বাবদ টাকা বর্তমান পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক আদায় করেছেন। ঝলমলিয়া হাটের ইজারাদার নাজমুল ইসলাম সুমন বলেন, সরকারি নিয়মনুযায়ী হাটের প্রতিবছর যে ইজারা হয়। তা হতে ১৫ ভাগ টাকা হাটের সংশ্লিষ্ট হাটে উন্নয়নের কাজে ব্যয় করতে হবে। কিন্তু এই হাটে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত কোনো প্রকার উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করেনি। বরং আমরা নিজেদের উদ্যোগে হাটের বিভিন্ন সংস্কার করেছি। এ ব্যাপারে পুঠিয়া সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক দেবাশীষ বসাক বলেন, হাটের উন্নয়নের জন্য যে ১৫ ভাগ টাকা ব্যয় করা হয়ে থাকে। এবিষয়ে আমি যেনে তারপর বলতে পারবো।
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে