পবিত্র মাহে রমজানে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরাতে বেশ কয়েকটি পণ্যেই ভ্যাট অব্যাহতি করলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মধ্যে বিস্কুট, মশলা,লবণ, সরিষার তেল, আটা, ময়দা, এলপি গ্যাস ইত্যাদি। কিছু পণ্যে উৎপাদন পর্যায়ে এবং কিছু পণ্যে ব্যবসায়ী পর্যায়ে এ ছাড় দেওয়া হয়। সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েলের উৎপাদন পর্যায়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে। সরিষার তেলের উৎপাদন পর্যায়েও ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে, যার কোনো সময়সীমা দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া দেশে উৎপাদিত যেসব পণ্যের ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো বিস্কুট, লবণ, আটা, ময়দা, সুজি, গুড়া মরিচ, ধনে, হলুদ, আদা, চালের কুঁড়ার তেল, সূর্যমুখী তেল, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল, ডাল বা ডাল জাতীয় খাদ্যশস্য।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বেশকিছু পণ্যের ওপর উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছে। ডাল জাতীয় শস্য ও সরিষার তেলসহ বেশ কিছু তেলের উৎপাদন পর্যায়ে আর গুড়া মরিচ, ধনিয়া, হলুদ, আদা, আটা, ময়দা, সুজি, দেশে উৎপাদিত বিস্কুট, লবণ, এলপি গ্যাস (শর্ত সাপেক্ষে) পণ্যের উপর ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত জানুয়ারি মাসে প্রায় শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট ও শুল্ক বসায় এনবিআর। পরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে প্রায় ১ ডজন পণ্যের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি ও ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্তের কথা জানায় সংস্থাটি।
গত ৯ জানুয়ারি বিস্কুট ও কেকে ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। পরে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিস্কুটের ওপর থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট কমায় এনবিআর।
শর্ত সাপেক্ষে এলপি গ্যাস ও প্রাকৃতিক গ্যাসেও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়। যারা নিজেরা আমদানি করে নিজেরাই ভোক্তার কাছে বিক্রি করেন, তারা ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা পাবে না।