যশোর-২, চৌগাছা-ঝিকরগাছা আসনের বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ডাঃ মোসলেহ উদ্দীন ফরিদের সাথে চৌগাছা ও ঝিকরগাছা জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে যশোর জেলা জামায়াত ইসলামীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা জামায়াত ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মাওলানা গোলাম রসুল। উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আবু জাফর সিদ্দিকী, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস, শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন ও রেজাউল করিম, যশোর শহর জামায়াতেইসলামী র আমীর মোঃ শামসুজ্জামান, ঝিকরগাছা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল আলীম, চৌগাছা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা গোলাম মোর্শেদ, ঝিকরগাছা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক হারুন অর রশীদ, সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম খান, চৌগাছা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা নূরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মাওলানা নুরুজ্জামান আল মামুন, সহ-সেক্রেটারি রহিদুল ইসলাম খান, মাস্টার কামাল আহমেদ ও মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, চৌগাছা পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল খালেক, সেক্রেটারি ডা. জিল্লুর রহমান, চৌগাছা উপজেলা জামায়াতের অর্থ সম্পাদক মাস্টার ইমদাদুল হক, অফিস সম্পাদক মাওলানা শামসুর রহমান, পৌর জামায়াত নেতা ও চৌগাছা কামিল মাদরাসার সহঅধ্যাপক মাওলানা রেজাউল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ডা. মোসলেহ উদ্দীন ফরিদ বলেন দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে জামায়াতে ইসলামীর আহবানে সাড়া দিয়ে আমি দেশে এসেছি। ব্রিটেন ছেড়ে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত করতে আমার দেশে আসা। তিনি বলেন জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসার জন্য সরকার লন্ডনে পাঠানোর পরিকল্পনা করে। তবে প্রত্যেক আহতের সাথে এটেনডেন্টসহ পাঠানো এবং অন্যান্য জটিলতা তো রয়েছেই। সে কারনে লন্ডনে আহতদের না নিয়ে তাদের সেই মানের চিকিৎসা দেয়ার জন্য একটি চিকিৎসকদল বাংলাদেশে এসেছে। দলটি ঢাকাতে ইতিমধ্যেই চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছে। আমি সেই দলের প্রধান হিসেবে কাজ করছি। তিনি আরও বলেন আমি ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ত্যাগ করে দেশে এসেছি। বর্তমানে আদ দ্বীন হাসপাতালে একজন চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছি।
জানা গেছে, শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও ইনটেনসিভ কেয়ার বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম শরীফ হোসেনের ছেলে। তিনি যশোরের খড়কি ঐতিহ্যবাহী পীর বাড়ির সন্তান। ১৯৬১ সালে জন্ম নেয়া এই চিকিৎসক ১৯৭৭ সালে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসসি এবং ১৯৭৯ সালে একই ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে এমবিবিএস পাশ করে ঢাকা পিজি হাসপাতালে যোগদেন। সেখানে ২বছর চিকিৎসক হিসেবে কাজ করে উচ্চ শিক্ষা নিতে যুক্তরাজ্যে চলে যান। সেখানে এমআরসিপিসিএইচ, এফআরসিপিসিএইচ এবং ডিসিএইচ ডিগ্রি নেন। এবং দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি সেখানে ইউনিভার্সিটি হসপিটালস বার্নিংহামে কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ইউরোপ বাংলাদেশ ফেডারেশন অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ডিরেক্টর, আল কুরআন একাডেমি লন্ডন এর ট্রাস্টি, ইডেন একাডেমি কভেন্ট্রি ইউকের ট্রাস্টি এবং সেন্টার ফর অল্টারনেটিভ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ইউকে'র প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।