সিলেট নগরীর তালতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের তিন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। আটককৃতদের মধ্যে একজন স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা সহ-সভাপতি এবং অপর দুজন জেলা আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সক্রিয় সদস্য।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তালতলার তথী এন্টারপ্রাইজ-২ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম এবং ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সদস্য কোতোয়ালী থানার যুগেন্দ্র কুমার নাথের পুত্র সিতীশ চন্দ্র নাথ ৫০, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী মির্জাজাঙ্গালের মৃত ইন্দ্র কুমারের ছেলে সুমন কুমার ৫৩, জেলা আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী জালালাবাদ আবাসিক এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের পুত্র মোঃ আবুল হোসেন ৫১। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানের সময় তারা ইয়াবা সেবনে লিপ্ত ছিল। আটককৃতদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র, ইয়াবা ট্যাবলেট এবং সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
সিলেটে আলোচিত অস্ত্রবাজ পীযুষ কান্তির সহযোগী সিতীশ। আটক সিতীশ চন্দ্র নাথ সিলেটের আলোচিত অস্ত্রবাজ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পীযুষ কান্তি দে-র ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। পীযুষ কান্তি এর আগেও অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সিতীশ চন্দ্র নাথও পীযুষ কান্তির নেতৃত্বাধীন চক্রের সদস্য এবং অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি তাদের অতীত অপরাধ কর্মকাণ্ড ও সংশ্লিষ্ট চক্রের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
সিলেটে আওয়ামী লীগ অঙ্গ-সংগঠনে চাঞ্চল্য: আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীদের এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার পর সিলেটজুড়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। সাধারণ জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছেন সবাই।