চট্টগ্রাম শহরে গত ২৪ ঘন্টায় সিএমপির বিভিন্ন থানায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের প্রায় ৩৪ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শহরের বাকলিয়া থানার আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন মহানগর ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মাহামুদুল ইসলাম মুন্না (৩৫), মোঃ শাকিল (২৩), আবদুল হামিদ প্রকাশ রিপন (৩৬), সদরঘাট থানার আসামি সাকিব আলম প্রকাশ মিনহাজ উদ্দিন সাকিব (২০), চকবাজার থানার আসামি মো: মোর্শেদ আলম (৩৫), মোঃ জুয়েল, বায়েজিদ বোস্তামী থানার আসামি মোঃ রিপন (৪৫), মোঃ নগেন (২০), পাঁচলাইশ মডেল থানার আসামি ৮নং শুলকবহর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন (৪৩), চান্দগাঁও থানার আসামি আহমেদ (৪৪), মোঃ ওয়াহিদুল আলম প্রকাশ বাবু, মোঃ আরমান (৪০), মেহেদী হাসান আকাশ (২২), মোঃ আরিফুল ইসলাম প্রকাশ আরিফ (২৩), মোঃ ইদ্রিস (২৭), বন্দর থানার আসামি মোঃ অন্তর প্রকাশ মেহেদী হাসান হৃদয় (২১),
খুলশী থানার আসামি ০৮নং শুলকবহর ওয়ার্ড যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রকাশ আরাফাত হোসেন সাদ্দাম (৩৩), ডবলমুরিং মডেল থানার মোঃ শামীম (১৪), সাইমুন (১৫), আবুল কালাম আজাদ (৫৮), মোঃ ইউনুছ ইসলাম প্রকাশ তারেক (২৫), হালিশহর থানার আসামি দিদার (৪২), পাহাড়তলী থানার আসামি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অনিক দাশ প্রকাশ নিঝুম (৩১), আকবরশাহ্ থানার আসামি বেলাল প্রকাশ পানি বেলাল (৪২), ইপিজেড থানার আসামি মোঃ শাকিল (২৫), কর্ণফুলী থানার আসামি জুলধা ইউনিয়নের যুবলীগের সহ সম্পাদক আব্দুস শুক্কুর প্রকাশ সুমন (৩০) ও কোতয়ালী থানার আসামি মোঃ জনি (৩০), মোঃ সোহেল (২১), হাসান (২০), মোঃ সুমন (২৬), জুয়লে দাস (৩০), মোঃ রাব্বী (২৪), মোঃ রাসেল সর্দার (৩২), মোহাম্মদ আলী (৩০) সহ সর্বমোট ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, উপরোক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে, সন্ত্রাসী বিরোধী আইনে ও পেনাল কোড আইনে এক বা একাধিক মামলাও রয়েছে। প্রসঙ্গত, নগরীর বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের এই ধরণের অভিযানে গত ছয় মাসে কয়েক হাজার আ’লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়।