চিরিরবন্দরে সাবেক এমপি'র হস্তক্ষেপে বসতভিটা নিয়ে বিরোধের অবসান

এফএনএস (মোরশেদ-উল-আলম; চিরিরবন্দর, দিনাজপুর) : | প্রকাশ: ৫ মার্চ, ২০২৫, ০৪:৫১ পিএম
চিরিরবন্দরে সাবেক এমপি'র হস্তক্ষেপে বসতভিটা নিয়ে বিরোধের অবসান

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বিএনপির সাবেক এমপি'র হস্তক্ষেপে দীর্ঘ ২০-২১ বছর যাবত চলে আসা বসতভিটা নিয়ে দুই পরিবারের সৃষ্ট বিরোধের অবসান হয়েছে। 

জানা গেছে, উপজেলার ১০নং পুনট্টি ইউনিয়নের গমিরাবাজারের সন্নিকটে দীর্ঘ ২০-২১ বছর ধরে বসতভিটা ও চলাচলের রাস্তা নিয়ে আমিনুল ইসলাম বাবু ও প্রতিবেশি এন্তাজুলের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, গন্যমান্য, স্থানীয় মসজিদে ও থানা পুলিশ দিয়ে কয়েক বার সালিশ-মিমাংসা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এ ঘটনার কোন প্রকার সুরাহা হতো না। ওই দুই পরিবারের কেউ কাউকে ছাড় দিতেও রাজি ছিল না। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটতো। কেউ কারো দিকে তাকাত না। দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল।

এ ঘটনায় সম্প্রতি ভুক্তভোগী একটি পরিবারের সদস্যরা দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আখতারুজ্জামান মিয়ার নিকট দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য ও বিষয়টি মিটমাটের সহযোগিতা কামনা করেন। 

এ আহবানের প্রেক্ষিতে আলহাজ্ব মোঃ আখতারুজ্জামান মিয়া উভয়পক্ষের সাথে দফায় দফায় কথা বলে সেখানে গিয়ে উভয়পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে সৃষ্ট সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই অনুযায়ী গত ৩রা মার্চ সোমবার বেলা ১১টায় আলহাজ্ব মোঃ আখতারুজ্জামান মিয়া স্থানীয় পুনট্টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য, ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে সঙ্গে নিয়ে ওই দুই পরিবারের সদস্যদের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে উভয় পরিবারের সদস্যরা তাদের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন এবং জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি প্রদর্শন করেন। বৈঠকে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক ও কাগজপত্রাদি দেখে সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোঃ আখতারুজ্জামান মিয়া সকলের উপস্থিতিতে ওই দুই পরিবারের সৃষ্ট সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান করে দেন। দুই পক্ষ মেনে নিলে ওই দুই পরিবারের সদস্যরা অঙ্গীকার করেন যে, কোনো দিন এ নিয়ে তারা পরস্পরের মধ্যে আর কোনো ঝগড়া-বিবাদে জড়িত হবেন না। যার যতটুকু জমি তারা ততটুকুই শুধু ভোগ-দখল করবেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে