৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরবর্তী সময়ে গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার, তৃতীয় ধাপে ৮৪ হাজার এবং চতুর্থ ধাপে ৮ হাজার ২০০ এর অধিক শিক্ষক-কর্মচারীকে ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে। আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারে (ইএফটি) জটিলতার কারণে মার্চ মাসে এসে জানুয়ারির বেতন পেয়েছেন দেশের ২০ হাজারের বেশি স্কুল-কলেজের ৩ লাখ ৮০ হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারী। অথচ কথা দেওয়া হয়েছিল, আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারে ইলেকট্রনিকস ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রত্যেক মাসের শুরুতেই বেতন-ভাতা পাবেন। অপরদিকে, নিজেদের তথ্য সংশোধন না হওয়ায় গত ডিসেম্বরের বেতন এখনও পাননি অনেক শিক্ষক-কর্মচারী। জানা গেছে, শিক্ষক-কর্মচারীদের নামের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের মিল না থাকাসহ বিভিন্ন তথ্য ভুল থাকায় তাদের বেতন দেওয়া সম্ভব হয়নি। ছোটখাটো ভুল থাকলেও সেগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভুল থাকায় বেতন ছাড় করা যায়নি অনেক শিক্ষক-কর্মচারীর। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভুলে সার্ভারে উঠেছে ভুল তথ্য, আবার তা সংশোধনে বিলম্বের কারণও মাউশির গাফিলতি। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকরা সঠিক তথ্য দিলেও মাউশির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তা সার্ভারে তুলতে গিয়ে ভুল করেছেন। এ কারণে ইএফটির তথ্যের সঙ্গে এমপিওর তথ্য, এনআইডির তথ্য এবং ব্যাংকের তথ্যে গরমিল দেখা দিয়েছে। এদিকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি মাউশি থেকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছিল, ইএফটির তথ্য সংশোধনের আবেদন করা যাবে ৬ মার্চের মধ্যে। আবার অনেক শিক্ষকরা বলছেন, ইএফটিতে আমার কোথায় ভুল হয়েছে এখনো জানতে পারিনি। তাহলে কীভাবে সংশোধনের আবেদন করব? মাউশি সূত্রে জানা গেছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে অনেকের এমপিওর তথ্য, এনআইডির তথ্য এবং ব্যাংকের তথ্যের মিল নেই। এছাড়া এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে অনেকের এমপিও শিটের নামের সঙ্গে এনআইডির নামের ডট (.), হাইফেন (-), কমা (,) বা আক্ষরিক অমিল আছে অথবা ব্যাংক হিসাবের নাম আংশিক ভুল আছে, কিংবা জন্মতারিখ অভিন্ন। জানা গেছে, জানুয়ারি মাসের বেতন শেষ করেই ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। আমরা আশা করি খুব দ্রুত সব সংশোধন করে শিক্ষকদের এই ভোগান্তি দূর করা হবে।