রাজশাহী অঞ্চলে ডলোচুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অম্লীয় মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা ও সুষম সার ব্যবহার বিষয়ক গবেষণা প্লটের মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিনার (৮ মার্চ) সকালে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, রাজশাহী বিভাগীয় অফিসের আয়োজনে রাজশাহীর তানোর উপজেলার সরঞ্জাই মাঠে কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের রাজশাহী বিভাগীয় মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমীর মো: জাহিদ। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কর্মসূচি পরিচালক, ডঃ মো নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাজশাহী জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মোজাদ্দেদ আল শামীম, তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল্লাহ আহম্মেদ, ও তানোর সরঞ্জাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হক। মাঠ দিবসে তানোর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষকদের উদ্দেশ্যে সুষম সার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সস্টিটিউট কে তানোর এলাকার কর্মসূচির মাধ্যমে সারের অপচয় রোধে কাজ করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। কৃষক সরোয়ার জাহান বলেন, সঠিক মাত্রায় সার ব্যবহারের ফলে কোল্ড স্টোরেজ এ আলুর সংরক্ষণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। কৃষক নায়মুল ইসলাম বলেন, তিনি মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সস্টিটিউট এর সুপারিশ মোতাবেক তার জমিতে চুন ও সার ব্যবহার করেছেন এবং পরিমিত সার ব্যবহার করে ভালো ফলন পেয়েছেন। তিনি মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সস্টিটিউট এর কার্যালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কৃষক মো: আরিফুল ইসলাম বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সস্টিটিউট এর সাথে আছেন এবং তাদের পরামর্শ মোতাবেক চাষাবাদ করছেন। তার দেখাদেখি আশেপাশের কৃষকও উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। জৈব সার ব্যবহার করে তার জমিতে ফলন বেড়েছে ও আলুও ভালো হচ্ছে। তিনি মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এর সুপারিশ অনুযায়ী চুন ব্যবহার করেন। কৃষক মো: কামাল উদ্দীন বলেন, এবারই তিনি প্রথম তার জমিতে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সস্টিটিউট এর সুপারিশকৃত সার, চুন ও পাশাপাশি প্রতি শতকে জৈব সার হিসেবে ৪ কেজি ভার্মি কমপোষ্ট ব্যবহার করেছেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের রাজশাহী বিভাগীয় অফিসের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা উপস্থিত কৃষকদের মাঝে সচেতনতা ও সুষম সার ব্যবহারে তাদের আগ্রহ দেখে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি তাদেরকে বিজ্ঞানী আখ্যা দেন ও কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটানোর জন্য তাদের অবদানকে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, মাটি আমাদের সম্পদ। মাটি সোনার চেয়েও মূল্যবান। মাটিতে গাছের বৃদ্ধির জন্য ১৩টি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান থাকে ।মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সস্টিটিউট এর সুপারিশ মোতাবেক জমিতে চুন প্রয়োগ করে জমি সংশোধনের মাধ্যমে সার দিলে জমিতে বিদ্যমান খাদ্যোপাদান গাছ সহজেই গ্রহণ করতে পারে।