আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভায় বিভাগীয় কমিশনার

এফএনএস (এস.এইচ.এম তরিকুল ইসলাম; রাজশাহী) : | প্রকাশ: ৮ মার্চ, ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভায় বিভাগীয় কমিশনার

রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে সকল ধর্মের প্রচলিত রেওয়াজ অনুসারে মায়ের সম্মান সবার উপরে এবং এটা আমরা দিয়েও থাকি। আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তেমন সার্থকতা নেই বরং আমরা তাঁদের এর চেয়ে বেশি সম্মান দিয়ে থাকি। শনিবার (৮ মার্চ) সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন, নারী ও কন্যার উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে সারাবিশ্বের মতো রাজশাহীতেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদ্যাপন করা হয়।

খোন্দকার আজিম আহমেদ বলেন, নারী দিবসের এ আন্দোলন হয়েছে আমেরিকা-ইউরোপে। কেননা তারা তাদের এলাকায় বসবাসরত নারীদের অসম্মান করেছে। কিন্তু আমরা তো আমাদের নারীদের কখনও অসম্মান করিনি। তবে দুই-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেনি এমনও নয়, তবে যারা করেছে, আইনের আওতায় আনা হয়েছে। 

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমরা মায়ের জন্য জীবন দেই, যুদ্ধ করি, কবিতা লিখি। নারী দিবস উদ্যাপনের অনেক আগে থেকেই আমরা তাদের সম্মান দেয়। তবে বিশ্বের সকলের সাথে আমরা একমত, পৃথিবীর যেকোনো স্থানে যদি নারীদের প্রাপ্ত মর্যাদা না দেওয়া হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।

তিনি বলেন, মায়ের জন্য কোনো দিবসের প্রয়োজন হয় না, তাঁর দিকে তাকালেই সওয়াব। একটা কন্যা সন্তানকে সঠিকভাবে মানুষ করলেই তো বেহেস্ত পাওয়া যায়। এ সময় নারীদের বিয়ের পরে উত্তরাধীকার না দেওয়ার প্রচলিত রেওয়াজ থেকে বেরিয়ে আসতেও সকলকে আহ্বান জানান তিনি। 

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আফিয়া আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার (এসপি) ফারজানা ইসলাম, সিভিল সার্জন দপ্তরের মেডিকেল অফিসার ডা. তামান্না কবীর, রাজশাহী কলেজের সংস্কৃত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক সাগর কুমার, রাজশাহী উপশহর মডেল মসজিদ এবং ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের খতিব আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক শবনম শিরিন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন ধর্মীয় গবেষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে জীবিকায়নের জন্য দক্ষতা ভিক্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির ৪ জন সফল উদ্যেক্তার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে