নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে প্রবাসী কামরুল হাসান এর বাড়িতে ১০-১২জনের সংঘবদ্ধ দল হামলা ও লুটপাট চালায়। এ সময় পাশের মসজিদে স্বামী কামরুল হাসান কে বেধড়ক পিটিয়ে মসজিদের সামনে বেঁধে রাখে। সঙ্ঘবদ্ধ দল প্রবাসীর ঘরে ঢ়ুকে হামলা লুটপাট ভাঙচুর চালায়।
কয়েকজন মিলে প্রবাসীর স্ত্রীকে রুমে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলেও শাশুড়ির বাধায়, জোড়াজুড়ি ও চিৎকারে জামা কাপড় ছিড়ে গেলেও কোন রকম ধর্ষণে থেকে রক্ষা পায় বলে জানিয়েছেন প্রভাসীর স্ত্রী নাজমা বেগম। কেউ ব্যাস্ত ছিল ঘরের আসবাবপত্র, স্টিলের আলমারি ও সোকেস ভেঙ্গে স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুটপাট নিয়ে। তাদের চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন এগিয়ে এলেও সন্রাসীদের ভয়ে কেউ এগিয়ে যাওয়ার সাহস করেনি। তারা যাওয়ার সময় ঘরের দরজা বাহির থেকে আটকে রেখে যায় বলে ভুক্তভোগী পরিবার জানায়। ঘটনাটি ঘটে রোববার সন্ধ্যায় মাগরিব এর নামাজের পর উপজেলার ১৪নং হাজিপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড হাজী আবদুর রব মিয়ার বাড়িতে।
সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী কামরুল হাসানের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫) সাংবাদিকদের জানায় সন্ধ্যায় ইফতার করে নামাজ পড়ে বসার পরে হঠাৎ পাশের বাড়ির
গোলাম মাওলানা (৬৫), আব্দুস সালামের ছেলে ইমন (২৬) তার ভাই মানিক(৪৫), সায়িফ, রনি, ফাহিম , খোকন, ইফরান লাঠি সোঠা নিয়ে আমার বিল্ডিং হামলা করে। তারা জোর করে আমার ঘরের দরজা ভেঙে ঢ়ুকে আমাকে একলা রুমে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ সময় আমি ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ বলে থানা এসে আগে অভিযোগ করেন তারপর আমরা যাবো। একথা বলতেই তিনি বলেন মানুষের এমন কঠিন সময়ে যদি পুলিশ এ ধরনের কথা বলে তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে।