রাজশাহীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ তিন মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত রাজশাহীর বেলপুকুর, কাটাখালী ও মতিহার থানা ও বাঘা উপজেলায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তিনদুজন হলেন- রাজশাহীর বেলপুকুর চেকপোস্ট এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে মো. আলিফ (১৮), নগরীর মৌলভী বুধপাড়া মহল্লার মো. সাকলাইনের ছেলে মো. সাদিক (১৭), বেলঘরিয়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে সালেহ আহমেদ (২৫),
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ডাকরা পাগলপাড়া গ্রামের মুঞ্জিল হোসেনের ছেলে জামিল হোসেন (৫)। নিহতদের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
রাজশাহীর বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, সোমবার সন্ধ্যার আগে আলিফ মোটরসাইকেল নিয়ে ইফতার কিনতে যাচ্ছিলেন। ধাদাস এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে আলিফ গুরুতর আহত হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখন চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাটাখালী থানার ওসি আবদুল মতিন জানান, গতকাল সোমবার দুপুরে কাটাখালী-হরিয়ান সড়কে মাসকাটাদীঘি কলেজপাড়া এলাকায় অজ্ঞাত একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায় মোটরসাইকেল চালক সাদিক। এতে তার চোয়াল ভেঙে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তবে কোন গাড়ির সঙ্গে দুর্ঘটনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে অবশ্য পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই।
এদিকে মতিহার থানার ওসি আবদুল মালেক জানান, সন্ধ্যার পর রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের বিহাস এলাকায় ড্রাম ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল চালক সালেহ আহমেদ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে তার আগেই পরিবারের সদস্যরা মরদেহ নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। তবে এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান জানান, নিহত শিশুর চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরার পথে দিঘা আঠালিয়া এলাকায় পৌঁছালে লালপুর থেকে ছেড়ে আসা বালি বোঝাই ট্রাকটি তাদের ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মায়ের কোলে থাকা জামিল ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২
