ইটভাটা ভাংচুরের বিরুদ্ধে

ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল

এফএনএস (মোঃ শামিম উল হক শাহিন; গাইবান্ধা) : | প্রকাশ: ১১ মার্চ, ২০২৫, ০৭:০২ পিএম
ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল

গাইবান্ধায় মোবাইল কোটের অভিযান, জরিমানা ও ইটভাটা ভাংচুরের বিরুদ্ধে ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি দিয়েছে। 

মঙ্গলবার ১১ মার্চ জেলার সব ইটভাটার মালিক ও হাজারো শ্রমিক জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন। গাইবান্ধা জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। 

স্মারকলিপি জমা দেওয়ার আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন মেসার্স এবিডি ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী আকতার আমিন বাবলা, ফ্রেন্ডস ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী খাদেমুল ইসলাম জুয়েল, এমএসবি ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী নওশের আলম এবং আনোয়ারুল কাদির ফুল মিয়া। 

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গাইবান্ধাসহ সারাদেশে ইটভাটা মালিকরা প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এই খাত থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হলেও নানা অজুহাতে ইটভাটাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। ইটভাটার দূষণমাত্রা আগে ৫৮ শতাংশ থাকলেও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে তা বর্তমানে ৫ থেকে ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। 

এছাড়া স্মারকলিপিতে জানানো হয়, জিগজাগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ কমানো সম্ভব। দেশে ইটভাটায় কর্মরত প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক সরাসরি এবং প্রায় ২ কোটি মানুষ পরোক্ষভাবে জীবিকা নির্বাহ করে। তবুও ইটভাটাগুলোর ওপর বারবার অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও ভাঙচুর করা হচ্ছে, যা এ খাতের শ্রমিকদের অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। 

ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা, মোবাইল কোটের অভিযান বন্ধ, মাটি কাটার জন্য জেলা প্রশাসকের প্রত্যয়নপত্রের বিধান বাতিল, দীর্ঘমেয়াদী পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন এবং ইটভাটা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সব লাইসেন্স নবায়নে কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হয়। বক্তারা অবিলম্বে হয়রানি বন্ধের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে