মধুমতির তীরে দিগন্তজোড়া মাঠে বাঙ্গির বাম্পার ফলন

এফএনএস (মোঃ একরামুল হক মুন্সী; চিতলমারী, বাগেরহাট) : | প্রকাশ: ১৪ মার্চ, ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম
মধুমতির তীরে দিগন্তজোড়া মাঠে বাঙ্গির বাম্পার ফলন

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার দক্ষিণ শৈলদাহ মধুমতি নদীর তীরে দিগন্তজোড়া মাঠে বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। সবুজ ক্ষেতের লতা-পাতার নিচে সারি-সারি জড়িয়ে আছে বাঙ্গি ফল। বাহারী এই মৌসুমী ফলের বাজার বর্তমান অনেক চড়া। ফলন ও বাজার দরে খুশি চাষীরা। কলাতলা ইউনিয়নের শৈলদাহ গ্রামের বাঙ্গি চাষী কবিতা রানী ঘরামী জানান, উপজেলার দক্ষিণ শৈলদাহ মধু মতির চরে ব্যাপক বাঙ্গির ফলন হয়েছে। রমজান মাসে আগাম বাঙ্গি তুলতে পেরে তিনি খুশি । প্রতিদিন পাকা বাঙ্গি তুলে বাজারে পাঠাচ্ছেন এই নারী কৃষানী। 

স্থানীয়  শাহাজান শেখ,ইব্রাহিম শেখ, জিয়াউর রহমানসহ অনেকে জানান, বর্তমান স্থানীয় বাজারে বড় আকারের প্রতিটি বাঙ্গি ২৫০থেকে৩০০, মাঝারি আকারের ২০০ এবং ছোট আকারের বাঙ্গি ১০০ থেকে ১৫০  টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারী বাঙ্গি ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, একদিকে রমজান মাস, অন্যদিকে গরমকাল। সে কারনে বাজারে বাঙ্গি ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। 

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সিফাত আল মারুফ জানান, চিতলমারী উপজেলায় চলতি মৌসুমে ২০হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ করা হয়েছে। চাষীদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় আগামীতে বাঙ্গিচাষে কৃষকের আগ্রহ আরো বাড়বে।

 প্রসঙ্গত: বাঙ্গি ফলে রয়েছে প্রচুর শর্করা, খনিজ, মিনারেল, ভিটামিন-এ এবং সি। এজন্য গরমে বাঙ্গি ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়া বাঙ্গি ফলে সুগার কম থাকায় ডায়বেটিস রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শরীর ঠান্ডা রাখতে তরমুজের পর বাঙ্গি দ্বিতীয় তালিকায় । বাঙ্গি গাছ দেখতে অনেকটা শসা গাছের মতো লতানো। অনেকে কাঁচা বাঙ্গি সবজি হিসেবে রান্না কওে খান।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে