অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের অভিযোগে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি।এছাড়া অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে পাচারচক্রের এক সদস্য ও ৫ নারীসহ ১৬ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে।পৃথক এসব অভিযানে ৩ শিশুকে আটক করেছে বিজিবি।উদ্ধার করা হয়েছে মাদক।শুক্রবার বিকাল চারটায় মহেশপুর ৫৮ বিজিবির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সামান্তা বিওপির নায়েক সৈয়দ হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে নিয়মিত টহলে বের হয় বিজিবি। এসময় সীমান্ত পিলার-৫৪/১-এস সংলগ্ন রুলি গ্রামের মমিনতলা মোড়থেকে ভারতীয় নাগরিক সুজন বিশ্বাসকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া সীমান্তের চাপাতলা, নিমতলা, সামান্তা, গয়েশপুর, খোসালপুর ও বাঘাডাঙ্গা বিওপি পৃথক এসব অভিযান চালায়। অভিযানে পাচারকারী চক্রের সদস্য ও নারীসহ ১৬ জনকে আটক করেছে বিজিবি।আটকরা হলেন মহেশপুর উপজেলার স্বরুপপুর ইউনিয়নের পিপুলবাড়িয়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে কিতাবুর বিশ্বাস (৪০)। আটক কিতাবুর মানবপাচার চক্রের চিহ্নিত সদস্য বলে জানা গেছে।
আটক অন্যান্যরা হলেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার গাজীরহাট গ্রামের হারুন শেখের ছেলে বুলবুল শেখ (৩৭),চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার আহলা গ্রামের গৌরাঙ্গ চৌধুরীর ছেলে সীমান্ত চৌধুরী(৩৭),খুলনার কয়রা উপজেলার মদিনাবাদ গ্রামের বাবর আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৪০),গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মৌলভীপাড়া গ্রামের কিবর শেখের ছেলে নাজমুল শেখ (৪১),সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেকী গ্রামের নেছার মোল্লার ছেলে রেজাউল ইসলাম (৪১),সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাটেকখালী গ্রামের মোস্তাহিদ সানার ছেলে সিরাজুল সানা (৩৭),সাতক্ষীরা পৌর এলাকার সুলতানপুর গ্রামের অমেদ আলী গাজীর ছেলে হারুন গাজী (৪৬)।এ ছাড়া এসব অভিযানে ৫ নারী ও ৩ শিশুকে আটক করেছে বিজিবি। আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। আটক নারী ও শিশুদের যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ার সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পৃথক অভিযানে ১০২ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে বিজিবি।
মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, আটক ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা দায়ের করা হবে। এ ছাড়া আটক বাংলাদেশি পুরুষ আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার) বলেন, আটক ভারতীয় নাগরিকসহ বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।