চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালে নিয়োগে চরম দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি এবং মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে আগত রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের ভিডিও করা ও ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়।
সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হাসপাতালের কিছু কর্মচারী নিয়োগপত্র ছাড়াই কাজ করছেনÑএমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে একপক্ষ অন্যপক্ষকে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে।
হাসপাতালের পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে হাসপাতালের ভেতরের গেটে তালা দিয়ে দুপক্ষকে আলাদা করা হয়। এর আগেও অনেকবার দুর্নীতি এবং অনিয়ম নিয়ে ওই হাসপাতালের ভিতর পরিচালনা কমিটির মধ্যে দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর নিজের ইচ্ছামত হাসপাতালটি পরিচালনা করে আসছেন। ফলে এলাকাবাসী এবং পরিচালনা কমিটির একটি পক্ষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয় । খুলশী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. হাফিজুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। উল্লেখ্য, ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি কাজ করছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমার নেতৃত্বে এই কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার।
হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম তদন্তে কমিটি ইতোমধ্যে নথিপত্র সংগ্রহ শুরু করেছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর হাসপাতালের অনিয়মের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।