কীর্তনখোলায় স্পিডবোট ডুবিতে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার

এফএনএস (বরিশাল প্রতিবেদক) :
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম | প্রকাশ: ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৩:৫১ এএম
কীর্তনখোলায় স্পিডবোট ডুবিতে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার

কীর্তনখোলায় স্পিডবোট দুর্ঘটনার দুইদিন পর চালক ও দুই যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সকালে নদীতে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বরিশাল সদর নৌ-থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি স্থান থেকেই মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল শেষে মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মরদেহ তিনটির মধ্যে একটি স্পিডবোট চালক আল আমিন (২৩)। অপর দুটি যাত্রী ইমরান হোসেন ইমন (২৯) ও রাসেল আমিন (২৪) এর বলে স্বজনরা শনাক্ত করেছেন। এরমধ্যে চালক আল আমিন ভোলা সদরের ভেদুরিয়ার উত্তর চর এলাকার মো. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে এবং যাত্রী ইমরান হোসেন ইমন ভোলা সদরের ধনিয়া এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে ও রাসেল আমিন পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলার নেওয়াপাড়া এলাকার আজগর আলী হাওলাদারের ছেলে। ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ওই দুর্ঘটনার পর চারজন নিখোঁজের কথা জানানো হয়েছিলো। যারমধ্যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করার পর এখনও বরিশালের বাবুগঞ্জের রহমতপুর এলাকার দুলাল দাসের ছেলে সজল দাস (৩০) নিঁখোজ থাকার কথা দাবি করছেন স্বজনরা। এনিয়ে দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চারজনে। পাশাপাশি এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।  উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পূর্বে কীর্তনখোলা নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখে জনতার হাট এলাকায় ভোলা থেকে বরিশালগামী যাত্রীবাহি স্পিডবোটের সাথে বাল্কহেডের মুখোমুখি সংঘর্ষে যাত্রীসহ স্পিডবোট ডুবে যায়। দূর্ঘটনার পর পরই নদী থেকে উদ্ধার করা জালিস মাহমুদ (৫০) নামের এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। এছাড়াও মানসুর আহমেদ নামে ভোলার দৌলতখান থানার কনস্টেবল আহত হয়। অপর যাত্রীরা সাতরিয়ে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। দুর্ঘটনায় নৌ-পুলিশের সদস্য বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্রধরে বাল্কহেডের চালককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।