রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের গুঞ্জরখাঁ গ্রামের মাহফুজুর রহমান অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষার ফি দিতে পারেনি। পরীক্ষার ফি দিতে না পারায় তাকে হল থেকে বের করে দেয়া হয়। এই দুঃখে এবং ক্ষোভে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। রবিবার দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। সোমবার সকালে পুলিশ ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী আমির আলী ও সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শিক্ষার্থীর বাবা। মাহফুজুর রহমান ওই গ্রামের হতদরিদ্র হাফিজুর রহমানের ছেলে। মাহফুজুর রহমান উপজেলার দেউতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ, নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে , ওই স্কুলের চলমান অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় মাহফুজুর রহমান পরীক্ষার ফি ছাড়াই পাঁচটি বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। রবিবার সকালেও সে গণিত বিষয়ের পরীক্ষায় ফি ছাড়াই অংশগ্রহণ করতে যায়। যথা নিয়মে মাহফুজুর রহমান সকাল ১০টায় সহপাঠীদের সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নেন। এসময় পরীক্ষার ফি না দেয়ার অভিযোগে মাহফুজুর রহমানকে পরীক্ষা চলাকালীন অবস্থায় শ্রেণি কক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়। এর পরে অফিস সহকারী আমীর হোসেন প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে যান মাহফুজুর রহমানকে। সেখানে সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ও আব্দুল হান্নান পরীক্ষার ফি না দেয়া এবং অষ্টম শ্রেণির নিবন্ধন না করায় মাহফুজুর রহমানকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেন। এ অপমান সইতে না পেয়ে ওই শিক্ষার্থী ওই দিন নিজ বাড়িতে এসে শোবার ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। প্রথমে লাশ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন। সোমবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠান।
পীরগাছা থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীর বাবা হাফিজুর রহমান দুইজনকে আসামী করে মামলা করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।