যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভৈরব ব্রীজ সংলগ্ন ঈদ মেলায় ফুচকা খেয়ে নারী শিশুসহ ৪০ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন এ ঘটনা ঘটে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে (ফুড পয়জনিং) অধিকাংশ রোগীর পেটে ব্যথা ও বমির লক্ষণ রয়েছে। এসব লক্ষণ নিয়ে ঈদের দিন থেকে গতকাল বুধবার(২এপ্রিল) পর্যন্ত নারী শিশুসহ অন্তত ১৮৪ জনকে ভর্তি করা হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬ জনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এবং ১২জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ীতে চলে গেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি অসস্থ রুগী ভরা। হাসপাতালের কেবিন, ওয়ার্ড, বারান্দা ও ফ্লোরে রুগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। কোথায়ও কোন খালি জায়গা নেই। রুগীদের সু-চিকিৎসার ব্যবস্থার জন্য ঈদের দিন থেকেই রাত দিন চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলীমুর রাজীব ও তার সহযোগিরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত উপজেলার কাপাশহাটী গ্রামের মাওলানা তাকিব হুসাইনের পরিবারের ৩ জন, বেঙ্গল টেক্সটাইল মিল মসজিদের ইমাম সাহেবের পরিবারের ৮ জন, প্রেমবাগ ইউনিয়নের প্রেমবাগ গ্রামের ৫ জন, গুয়াখোলা, বুইকারা, শংকরপাশাসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ১৫৬ জন রোগীর চিকিৎসা চলছে। এছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে অনেক পরিবার বাড়ি ফিরে গেছে।
উপজেলার কাপাশহাটী গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা তাকিব হুসাইন বলেন, ঈদের দিন বিকালে স্বপরিবারে ভাঙ্গাগেট এলাকায় ভৈরব সেতু সংলগ্ন এক ঈদ মেলায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে এক স্টল থেকে ফুচকা খেয়ে ৩ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাড়ি ফেরার পর পেটে ব্যথার সঙ্গে বমি শুরু হয় তাদের। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে এমন হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলীমুর রাজীব বলেন, ‘ঈদের দিন(৩১মার্চ) থেকে গতকাল বুধবার(২এপ্রিল) পর্যন্ত নারী শিশুসহ অন্তত ১৮৪ জনকে জন ফুড পয়জনিং (খাদ্যে বিষক্রিয়া) রোগীকে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি, তবে বয়স্ক নারী-পুরুষও রয়েছেন। স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেয়া হচ্ছে।’
এ বিষয় অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুল আলিম জানান, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাই নেই। অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।