নীলফামারীতে আওয়ামীলীগের নেতার স্ত্রী’কে সভাপতির বানানোর প্রতিবাদে মানব বন্ধন করেছে এলাকাবাসী, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। মানব বন্ধনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামীলীগ নেতার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় মামুনুর রশীদ নামের স্থানীয় এক জামায়াত নেতার আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার দুপুরে জেলার ডোমার উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়নে।
জানা যায়, নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বামুনিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে রিয়াদ নামের স্থানীয় এক আওয়ামীলীগের নেতার স্ত্রী রংপুরের বাসিন্দা খাদিজা আক্তাকে গত ২৩ মার্চ সু-কৌশলে সভাপতি করে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তফা আলম। এ ঘটনার প্রতিবাদে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে অপসারণ ও কমিটি বাতিলের দাবীতে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। মানব বন্ধন চলাকালে প্রধান শিক্ষক ছাত্রীদের দিয়ে প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল বের করলে উভয় পক্ষে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা রেজোয়ান, কানন, আরজ, আকাশ এবং রিয়াদের সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতিবাদকারীদের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় ৭ নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মামনুর রশীদের একটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এখানে অবস্থার অবনতি হলে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিদ্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, যুবদল নেতা আলফাছ সানি, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রিপন ইসলাম, জামায়াত নেতা আমজাদ হোসেন, অভিভাবক রুহুল আমিন প্রমূখ।
এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালু সাংবাদিকদের জানান, ইউএনও সাহেব সভাপতি হবে মর্মে আমাদেরকে জানানো হয়। পরে কিভাবে আওয়ামীলীগের নেতার স্ত্রীকে সভাপতি বানানো হয়েছে আমরা জানি না।
এ ব্যাপারে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরিফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাŤক্ষনিকভাবে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তফা আলম সাংবাদিকদের জানান, সকলের সম্মতিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে হামলার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিপিএএ পুরস্কারপ্রাপ্ত ইউএনও সাহেবের গোপন কারসাজির কারনে সু-কৌশলে আওয়ামীলীগের লোকজনকে বিভিন্নভাবে পুনর্বাসনের প্রজেক্টের অংশ হিসাবে এখানে সভাপতি বানানো হয়েছে বলে এলাকাবাসীর দাবী।