আমতলীতে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

এফএনএস (মোঃ হাফিজুর রহমান; বরগুনা) : | প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম
আমতলীতে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

আমতলীতে  কলাগাছ লাগানো নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চলমান বিবাদ থামাতে গিয়ে চাচা, চাচাত ভাই এবং ভাতিজার বাঁশের লাঠির আঘাতে আলমগীর প্যাদা (৪২) নিহতের ঘটনায় রবিবার সকালে ১২ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী নাসিমা বেগম। এঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

এামলা  সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার আঠার গাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের মৃত তৈয়ব আলী প্যাদার ছেলে আবুল প্যাদা তার বাড়ীর দরজায় ৫টি কলাগাছ রোপন করেন। একই বাড়ির হাবিল প্যাদা ওই জমি তার দাবী করে দরজায় লাগানো ৫টি কলাগাছ বৃহস্পতিবার বিকেলে কেটে ফেলেন। এ নিয়ে শুক্রবার রাতে উভয়পক্ষ বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন। বাগ বিতন্ডার শব্দ শুনে একই বাড়ির মৃত মোনসের আলী প্যাদার ছেলে আলমগীর প্যাদা ঘরের বাইরে এসে তাদের বাগবিতন্ডা থামানোর চেষ্টা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা হোচেন প্যাদা, চাচাত ভাই হাবিল প্যাদা ও ভাতিজা শাহারুল প্যাদার নেতৃত্বে ১০-১২ জন মিলে বাঁশের লাঠি দিয়ে আলমগীর প্যাদার উপর হামলা শুরু করেন। হামলায় মাথায় আঘাত পেয়ে আলমগীর প্যাদা অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরার পর হাবিল প্যাদা, হোচেন প্যাদা ও শাহারুল প্যাদা আলমগীর প্যাদার বুকে আঘাত করেন। তাকে রক্ষার জন্য ভাতিজা জুলহাস প্যাদা (২৮) এবং ভাতিজি শাহিনুর বেগম (৩২) এগিয়ে গেলে হাবিল প্যাদার লোকজন তাদেরকেও পিটিয়েও জখম করেন। তাৎক্ষনিক স্বজনরা গাজীপুর পুলিশ ফাঁরির সহযোগিতায় গুরুতর আহত আলমগীর প্যাদা, জুলহাস প্যাদা ও শাহিনুর বেগমকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়ার পর  জরুরী ভিভাগের চিকিৎসক আলমগীর প্যাদাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। এবং জুলহাস ও শাহিনুর বেগমকে ওই হাসপালে ভর্তি করেন। তারা বর্তমানে সেখানে চিকিৎসা ধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় নিহত আলমগীর প্যাদার স্ত্রী নাসিমা বেগম বাদী হয়ে চাচাত ভাই হাবিল প্যাদাকে প্রধান করে ১২ জনের বিরুদ্ধে রবিবার সকাল ১০টায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এজাহার ভূক্ত হোচেন প্যাদা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ জেল হাজতে পাঠিয়েছে। 

মামলার বাদী নিহত আলমগীর প্যাদার স্ত্রী নাসিমা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে যারা অন্যায় ভাবে হত্যা করেছে আমি তাদের কঠিন বিচার চাই।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, আলমগীর প্যাদা নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ১ জনকে গ্রেপ্তার কওে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে