শিশু জুঁই হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বড় গাড়ফা উত্তরপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহিরুল ইসলামের মেয়ে ও গাড়ফা আজেদা নূরানী কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার্থী শিশু আকলিমা আরা জুঁই হত্যার প্রতিবাদে,হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শান্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে পাবনার চাটমোহরে। গতকাল বুধবার (১৬ এপ্রিল) এই কর্মসূচি পালিত হয়।

জুঁই হত্যার প্রতিবাদে,হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় চাটমোহর নতুন বাজার খেয়াঘাট চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে বড়াল বিদ্যা নিকেতনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন চলাকালে হত্যাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন,বড়াল বিদ্যা নিকেতনের পরিচালক,বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব এস এম মিজানুর রহমান,সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সজল বিশ্বাস,ডাঃ আতিকুল আলম,চাটমোহর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও চলনবিল রক্ষায় আমরার আহবায়ক হেলালুর রহমান জুয়েল,প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম মাসুদ রানা প্রমুখ। 

এদিকে চাটমোহরের সর্বস্তরের জনতার ব্যানারে সকাল ১০টায় চাটমোহর পুরাতন বাজার থানা মোড় আমতলায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন,বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনের নেতা মঞ্জুরুল আলম,বরকত উল্লাহ ফাহাদ,চাটমোহর প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলালুর রহমান জুয়েল,সুজনের সভাপতি এস এম হাবিবুর রহমান,পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তাইজুল,সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ জিয়ারুল হক সিন্টু,গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য জুয়েল রানা,স্বেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান লেবু,হাফেজ পারভেজ হোসাইন,মেহেদী হাসান সুজন,রফিকুল ইসলাম,আলমগীর মোহাম্মদ,রোকসানা পারভীন,মহিলা দলের সহ সভাপতি বুড়ি সরকার প্রমুখ। শেখ জাবের আল শিহাবের সঞ্চালনায় মানববন্ধন চলাকালে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনজুরুল আলম। 

উল্লেখ্য,নাটোরের বড়াইগ্রাম থেকে নিখোঁজের একদিন পর আকলিমা আরা জুঁই (৭) এর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে চাটমোহর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রামপুর বিলের একটি ভুট্টা খেতে তার লাশ পাওয়া যায়। জুঁইকে ধর্ষণের পর পরণের প্যান্ট গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়,এরপর অ্যাসিড দিয়ে মুখ ঝলসে দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। 

এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) আরজুমা আক্তার বলেন,প্রাথমিকভাবে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এবং মুখ অ্যাসিডে পোড়ানো হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাবে। থানায় মামলা হয়েছে। আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তদন্ত করছি এবং দোণিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।