ভোমরা বন্দরে পাসপোর্ট যাত্রীদের চলাচল ও আমদানির রপ্তানি শুরু

উত্তাপ আর উত্তেজনা কমছে না ভারতে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ইস্কনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে চলছে অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল থেকে ছড়ানো হচ্ছে উত্তেজনা। দেওয়া হচ্ছে নানা হুমকি ধামকিও। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের পর বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়নের অভিযোগ আনে ভারতের বিভিন্ন সংগঠন। বাংলাদেশের সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অমানবিক অত্যাচার বন্ধের প্রতিবাদে লাগাতার বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় সে দেশের রাজ্যভিত্তিক ধর্মীয় ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন। এছাড়া তীব্র প্রতিবাদ জানাতে সীমান্তর দিকে অবস্থান নিতে রোডমার্চের ঘোষণা দেয় সে দেশের ধর্মীয় সংগঠনগুলো। তারই ধারাবাহিকতায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঘোজাডাঙ্গা স্থল বন্দর অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে তারা। মঙ্গলবার (১০ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ঘোজাডাঙ্গা স্থল বন্দরের হাজরাতলা নামক স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনটি। সংগঠিত অবরোধ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন ঘোজাডাঙ্গা কাস্টম সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিব মন্ডল। এ সমাবেশ থেকে দেওয়া হয় বাংলাদেশ বিরোধী নানা অপপ্রচার ও হুমকি। রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করে তারা বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতির ভয় দেখায়। এ বিক্ষোভ সমাবেশে উত্তেজনায় ফেটে পড়ে সে দেশের জনতার একটি অংশ। এ অবরোধ ও সমাবেশকে ঘিরে উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ সীমান্তে বাড়তি সর্তকতা এবং কঠোর নজরদারি বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে বিএসএফের পক্ষ থেকে সড়কে দেওয়া হয় ব্যারিকেট। ফলে বন্ধ হয়ে যায় সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানিসহ পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত। মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত একটানা নয় ঘন্টা অবরোধের মুখে পড়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত। উভয় দেশের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে অবস্থান নেওয়া পাসপোর্ট যাত্রীরা পরে চরম বিপাকে। পারাপারের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় এইসব ভুক্তভোগী পাসপোর্ট যাত্রীদের। আগমন ও বহির্গমনে বাঁধা পড়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হয় উভয় দেশের পাসপোর্ট যাত্রীরা। এ ব্যাপারে ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ নকিবুল্লাহ বলেন, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থল বন্দরে সেদেশের রাজনৈতিক সংগঠনের ডাকা অবরোধে বন্ধ হয়ে যায় আমদানি-রপ্তানি ও পাসপোর্ট যাত্রীদের আগমন ও বহির্গমন। তবে অবরোধ শেষে ভোমরা ও ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত বন্দর দিয়ে চালু হয় আমদানি-রপ্তানি ও পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত। আইসিপি কাস্টম চেকিং পোস্টে নিজ দেশে ফেরার অপেক্ষায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় যাত্রীদের। এদিকে ভোমরা কাস্টম সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা বলেন, বাংলাদেশের ইস্কনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারকে ঘিরে ভারতের প্রায় রাজ্যে শুরু হয় উত্তেজনা। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে বন্দর সীমান্তে রোডর্মাচের মধ্য দিয়ে ডাক দেওয়া হয় অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ। আর এ অবরোধের প্রভাব পড়ে ঘোলাডাঙ্গা ও ভোমরা বন্দরে। সৃষ্ট অবরোধের মুখে প্রায় নয় ঘন্টা আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় সরকার হারিয়েছে এক কোটি টাকার রাজস্ব।

উত্তাপ আর উত্তেজনা কমছে না ভারতে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ইস্কনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে চলছে অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল থেকে ছড়ানো হচ্ছে উত্তেজনা। দেওয়া হচ্ছে নানা হুমকি ধামকিও। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের পর বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়নের অভিযোগ আনে ভারতের বিভিন্ন সংগঠন। বাংলাদেশের সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অমানবিক অত্যাচার বন্ধের প্রতিবাদে লাগাতার বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় সে দেশের রাজ্যভিত্তিক ধর্মীয় ও  বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন। এছাড়া তীব্র প্রতিবাদ জানাতে সীমান্তর দিকে অবস্থান নিতে রোডমার্চের ঘোষণা দেয় সে দেশের ধর্মীয় সংগঠনগুলো। তারই ধারাবাহিকতায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঘোজাডাঙ্গা স্থল বন্দর অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে তারা। মঙ্গলবার (১০ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ঘোজাডাঙ্গা স্থল বন্দরের হাজরাতলা নামক স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনটি। সংগঠিত অবরোধ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন ঘোজাডাঙ্গা কাস্টম সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিব মন্ডল। এ সমাবেশ থেকে দেওয়া হয় বাংলাদেশ বিরোধী নানা অপপ্রচার ও হুমকি। রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করে তারা বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতির ভয় দেখায়। এ বিক্ষোভ সমাবেশে উত্তেজনায় ফেটে পড়ে সে দেশের জনতার একটি অংশ। এ অবরোধ ও সমাবেশকে ঘিরে উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ সীমান্তে বাড়তি সর্তকতা এবং কঠোর নজরদারি বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে বিএসএফের পক্ষ থেকে সড়কে দেওয়া হয় ব্যারিকেট। ফলে বন্ধ হয়ে যায় সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানিসহ পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত। মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত একটানা নয় ঘন্টা অবরোধের মুখে পড়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত। উভয় দেশের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে অবস্থান নেওয়া পাসপোর্ট যাত্রীরা পরে চরম বিপাকে। পারাপারের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় এইসব ভুক্তভোগী পাসপোর্ট যাত্রীদের। আগমন ও বহির্গমনে বাঁধা পড়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হয় উভয় দেশের পাসপোর্ট যাত্রীরা। এ ব্যাপারে ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ নকিবুল্লাহ বলেন, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থল বন্দরে সেদেশের রাজনৈতিক সংগঠনের ডাকা অবরোধে বন্ধ হয়ে যায় আমদানি-রপ্তানি ও পাসপোর্ট যাত্রীদের আগমন ও বহির্গমন। তবে অবরোধ শেষে ভোমরা ও ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত বন্দর দিয়ে চালু হয় আমদানি-রপ্তানি ও পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত। আইসিপি কাস্টম চেকিং পোস্টে নিজ দেশে ফেরার অপেক্ষায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় যাত্রীদের।  এদিকে ভোমরা কাস্টম সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা বলেন, বাংলাদেশের ইস্কনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারকে ঘিরে ভারতের প্রায় রাজ্যে শুরু হয় উত্তেজনা। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে বন্দর সীমান্তে রোডর্মাচের মধ্য দিয়ে ডাক দেওয়া হয় অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ। আর এ অবরোধের প্রভাব পড়ে ঘোলাডাঙ্গা ও ভোমরা বন্দরে। সৃষ্ট অবরোধের মুখে প্রায় নয় ঘন্টা আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় সরকার হারিয়েছে এক কোটি টাকার রাজস্ব।