বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাঁচ মাসে ২১ হাজার ৩৬০ টন চাল আমদানি

এফএনএস (মহসিন মিলন; বেনাপোল, যশোর) : | প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:০৪ পিএম
বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাঁচ মাসে ২১ হাজার ৩৬০ টন চাল আমদানি

দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম সহনীয় রাখতে চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছিল সরকার। এ ঘোষণার পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত পাঁচ মাসে ভারত থেকে ২১ হাজার ৩৬০ টন চাল আমদানি হয়েছে। সর্বশেষ ১৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টা পর্যন— ২০০ টন চাল আমদানি হয়েছে। এরপর এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার।।

বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি ডিরেক্টর মামুন কবীর তরফদার এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ১৭ নভেম্বর থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়ে শেষ হয় মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল)। এ সময়ে তিন লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সর্বশেষ রোববার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন— আমদানি করা ২০০ টন নন-বাসমতী চালবোঝাই ছয়টি ট্রাক বন্দরের ৩১নং ট্রান্সশিফমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করে। এ নিয়ে ১৭ নভেম্বর থেকে রোববার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন— ২১ হাজার ৩৬০ টন চাল ভারত থেকে আমদানি হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে বেসরকারিভাবে ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং এক লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো সময় স্বল্পতার কারনে চাল আমদানি করতে পারেনি। প্রথমে সরকারঘোষিত আমদানির মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের ২২ ডিসেম্বর। এই সময়ের মধ্যে আশানুরূপ চাল আমদানি না হওয়ায় সময় ৪ দফা বাড়ানো হয়। যার সর্বশেষ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বন্ধ করা হয়।

তবে যেসব চাল আমদানি হয়েছে তার মধ্যে মোটা চাল প্রতি টন ৩৯০-৪০০ মার্কিন ডলার, চিকন চাল প্রতি টন ৪৫০-৪৭০ ডলার মূল্যে আমদানি হয়। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় এসব চাল খালাস দেয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন— এখন আর চাল আমদানি করতে পারবেন না ব্যবসায়ীরা।

চাল আমদানিকারক আলাউদ্দিন জানান, সরকারি চুক্তি অনুযায়ী ১৫ এপ্রিল চাল আমদানির শেষ সময় ছিল। এখনো ওপারে তার এক হাজার টন চাল দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

আরেক চাল আমদানিকারক নুরুজ্জামান কনক জানান, বেনাপোল বন্দর থেকে আমদানিকৃত মোটা চাল প্রতি কেজি ৫২- ৫৩ টাকা, চিকন চাল ৭০-৭২ টাকা দরে পাইকারি বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মঙ্গলবার থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। চাল আমদানির বর্ধিত চতুর্থ ধাপের সর্বশেষ সময় ছিল ১৫ এপ্রিল পর্যন—। গত ৫ মাসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২১ হাজার ৩৬০ চাল আমদানি হয়।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে